এ দিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছেন তাঁরা৷ একই সঙ্গে গৌতম বাবু দাবি করেছেন, যে টেট উত্তীর্ণদের ২০১৬ সালে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের প্রত্যেকেরই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়েছে৷ প্রত্যেক প্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন পর্ষদ সভাপতি৷
advertisement
আজই প্রাথমিকে এক সঙ্গে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষণ বিহীন ৩৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ তবে বিচারপতি নির্দেশে জানিয়েছেন, যে প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন, তাঁদের চাকরি থাকবে৷
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে একসঙ্গে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বর্তমান পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল৷ তিনি স্পষ্ট করে দেন, আদালত যে নির্দেশই দিক না কেন, যে প্রার্থীদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক, তাঁদের পাশেই রয়েছে পর্ষদ৷ গৌতম বাবু দাবি করেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্মান আছে৷ আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি৷ আদালতেও আবেদন করতে চলেছি৷ নিয়ম মেনে প্রত্যেকের প্রশিক্ষণ হয়েছে৷ পর্ষদের পক্ষ থেকেও প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে৷ বর্তমানে প্রশিক্ষণ বিহীন কেউ নেই৷ আমরা খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত জানাব৷ গৌতমবাবু আরও দাবি করেন, যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি মামলা চলাকালীন হলফনামা আকারে আদালতকেও জানানো হয়েছিল৷
পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, প্রত্যেকে যোগ্যতা প্রমাণ করেই চাকরি পেয়েছেন আমরা বলতে পারি না কারও যোগ্যতা নেই৷
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন অবশ্য নির্দেশ দিেত গিয়ে বলেছেন, এখনই কারও চাকরি যাবে না৷ প্রশিক্ষণবিহীনরা আগামী চার মাস চাকরি করবেন৷ তবে পার্শ্ব শিক্ষকদের স্তরে বেতন পাবেন৷ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়মের জন্য সংসদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকেই দায়ী করেছেন বিচারপতি৷
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের ২০১৬ সালে নিয়োগ করা হয়৷ যদিও সেই নিয়োগ নিয়ে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে৷ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার নিয়ম ছিল৷ অভিযোগ, সেই টেস্ট নেওয়াই হয়নি৷ মামলাকারী পরিক্ষার্থীদের যুক্তি, অ্যাপটিটিউড টেস্টে নম্বর তাঁদের দেওয়াই হয়নি। কেউ ০, কেউ ১ পেয়েছে। প্রশিক্ষণযুক্ত দের বঞ্চনার জন্যই অ্যাপটিটিউড টেস্টের নামে কারচুপি করে নিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণহীনদের সুযোগ দিতেই এমন কারচুপি বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর দেওয়া হলে তাঁরা মেধা তালিকায় জায়গা পেতেন বলেই দাবি।