গত শিক্ষাবর্ষে করোনা মহামারীর জন্য বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে দেয়। সিআইএসসিই (CISCE) এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) ২০২১-২২ সালে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বোর্ডে পরীক্ষা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিআইএসসিই প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে হয়েছিল এবং প্রথমবারের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সহজে প্রশ্ন (MCQs) চালু করা হয়েছিল। এমনই প্রশ্ন হয়েছিল যা ৯০ মিনিটের পরীক্ষার পেপারগুলোর মধ্যে সিলেবাসের ৫০ শতাংশ মাত্র ছিল।
advertisement
স্কুলগুলি জানিয়েছে, যে শিক্ষার্থীরা ২০ মাস পরে কলম-কাগজ পরীক্ষায় ফিরে আসছে এবং তাদের প্রস্তুতির জন্য কম সময় ছিল। এছাড়াও, এমসিকিউ ফর্ম্যাটটি ছাত্রদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ নতুন। প্রশ্নপত্রের নতুন পদ্ধতিতে এমসিকিউ গুলিকে এড়িয়ে বিকল্প প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ ছিল না পড়ুয়াদের।
দেখা যাচ্ছে গড় ৭-৮ শতাংশ কমেছে পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বর। এমসিকিউর উত্তরগুলি হয় সঠিক বা ভুল ছিল। কান্দিভলির একটি স্কুলের প্রধান বলেছেন,"অনলাইনে পরীক্ষা হলেও যা হত এই পদ্ধতিতে পরীক্ষাতে তাই ঘটেছে।"
আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই দারুণ সাড়া, পাড়ায় শিক্ষালয়ে অংশ নিল কত পড়ুয়া?
সিআইএসসিই প্রাথমিকভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। পরে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও শিক্ষকদের একাংশের মত, 'যারা পড়াশুনা করেছে তারা ভালো ফল করেছে। এমসিকিউ যতটা সহজ ছিল, পড়ুয়ারা ততটা সহজ মনে করেনি, নতুন ধাঁচে প্রশ্ন আসায় অনেকটাই বিভ্রান্ত হয়েছিল পড়ুয়ারা। প্রশ্নগুলি কিছুটা জটিল ছিল এবং এটি অনলাইনে না রাখাই ছিল সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত'।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ যুবকের আশায় জল ঢেলে স্থগিত হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া
অপর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মনে করেন, নতুন প্রশ্নের পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে বহু পড়ুয়া আশানুরূপ ফল করতে পারেননি। অনেক ক্ষেত্রে জানা প্রশ্ন ঘুরিয়ে দেওয়ায় পড়ুয়ারা সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। কারণ প্রশ্নগুলি দেখে বিভ্রান্তিকর অবস্থা হয়েছিল পড়ুয়াদের। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জানাচ্ছেন, "নতুন পদ্ধতির পরীক্ষার ব্যবস্থাকে দায়ী করে লাভ নেই পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে বসলে অবশ্যই ভালো ফল হত। যে ধরনের প্রশ্ন এসেছে তা সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত। এমসিকিউ'র সবটাই সিলেবাস থেকেই এসেছে। যারা সিরিয়াস পড়ুয়া তাদের ফল ভালোই হয়েছে।"
স্কুলের প্রধানরা বলেছেন, যে ফলাফলগুলি শিক্ষার্থীদেরকে দ্বিতীয় সেমিস্টারে পরীক্ষায় এগিয়ে দিয়েছিল তারাও নতুন এই ফর্ম্যাটে কিছুটা হলেও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এরই মধ্যে আবার কিছু পড়ুয়া ভাল ফল করেছে। যারা ভালো ফল করেছে দেখা যাচ্ছে তারা পুরানো ফর্ম্যাটেই অভ্যস্ত। যদিও ছাত্রদের চূড়ান্ত ফলাফলের শংসাপত্রগুলি দুটি সেমিস্টারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে এবং ব্যবহারিক, মৌখিক নম্বর চূড়ান্ত পর্যায়ে যোগ করা হবে।
এদিকে, নভেম্বরে প্রথম পরীক্ষা নেওয়া সিবিএসই এখনও ফলাফল ঘোষণা করেনি।