৬টি ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলায় সোমবারের পর ফের চাকরির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের টেটে ৬ প্রশ্ন ভুল মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ মেনে উত্তীর্ণ হচ্ছেন ৭৭ জনই। পুজোর আগেই ৭৭ জনকে চাকরির নির্দেশ। রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা জানালে তার ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
নিয়োগ নির্দেশ কার্যকর হল কি না, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তা খোঁজ নেবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৬টি ভুল প্রশ্ন অ্যাটেমপ্ট করলেই ফুল মার্কস দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। ৩ অক্টোবর ২০১৮ নির্দেশ নিয়ে বর্তমানে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা বিচারাধীন। তবে সেই মামলার বিচার্য অন্যতম বিষয় হলো, ৬টি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিলেই পরীক্ষার্থীরা পুরো নম্বর পাবেন কি না।
advertisement
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি ঘিরে তোলপাড় হাইকোর্ট! মঙ্গলেও আইনজীবীদের শোরগোল চরমে, উত্তপ্ত আদালত চত্বর
সোমবার সোহম রায় চৌধুরী, মঙ্গলবার বনলতা সমাদ্দারের মতো ৭৭ জনই আদালতের নির্দেশ মেনে টেট উত্তীর্ণ বলে হাইকোর্টকে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কারণ এঁরা প্রত্যেকেই ওই ৬টি ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন৷ তাই তাঁদের চাকরির নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।একই রকম আরও অনেকেই এমন সুযোগ পাওয়ার অধিকারী। বুধবার দুপুর দুটোয় তাঁদের মামলার শুনানি। তারাও চাকরি পাওয়ার পথে এগিয়ে আছেন বলে জানাচ্ছেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, আইনজীবী ফিরদৌস সামিম, আইনজীবী বিক্রম বন্দোপাধ্যায়রা।
সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, 'পর্ষদের ভুল তাদেরই শোধরাতে হবে।' ২৩ দিনের মধ্যে ২৩ টেট উত্তীর্ণকে চাকরি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ৬টি 'ভুল' প্রশ্নের উত্তর দেওয়া তেইশ জন আদালতের নির্দেশে টেট উত্তীর্ণ হন।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, ৬ ভুল প্রশ্নের নম্বর জোড়ার পর ২৩ জনই টেট উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ টেট উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ওই পরীক্ষার্থীদের কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আজ আদালতে বোর্ড জানায়, ২০১৬ ও ২০২০ সালের নিয়োগ সম্পূর্ণ। এখন নিয়োগ করার পরিস্থিতি নেই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, 'পর্ষদের ভুল তাদেরই শোধরাতে হবে। রাজ্যের শিক্ষা দফতর শূন্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সেই শূন্যপদের প্রেক্ষিতে ২৩ জনকে ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যে চাকরি দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।'