বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এ দিনের রায়ে মূলত আটটি বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ৷ এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এ দিনের রায়ের মূল নির্যাস-
- লুকিয়ে করা প্রাথমিক বোর্ডের ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭, দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা সংক্রান্ত পর্ষদের যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের ফরেন্সিক তদন্ত চলবে।
- একক বেঞ্চের নির্দেশ মেনে নিয়োগ দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত চলবে।
- বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ প্রাথমিক নিয়োগের আর্থিক তছরুপের দিকটিও নজরদারি/পর্যবেক্ষণ চালাতে পারবে।
- প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সিবিআইয়ের সমস্ত তদন্তের উপর একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি থাকবে।
- নিয়মিত সিবিআইয়ের থেকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব করতে পারবে একক বেঞ্চ।
- একক বেঞ্চের নির্দেশনামায় মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কে লেখক কিছু মন্তব্য এই মুহূর্তে অস্তিত্বহীন মনে করছে ডিভিশন বেঞ্চ। ৭) মানিক ভট্টাচার্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ নয়।
- বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ মেনে বাতিলই থাকছে ২৬৯ জনের চাকরি। বেআইনি ভাবে এই নিয়োগের প্রাথমিক তথ্য থাকায়, এখনই চাকরি হারানো দের বক্তব্য শোনার প্রয়োজনীয়তা নেই।
- ডিভিশন বেঞ্চের রায় সামনে আসতেই আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সরব হয়েছেন CBI তদন্তের শ্লথ গতি নিয়ে। তদন্ত থমকে দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন তিনি। তদন্ত দ্রুত হওয়ার জন্য পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়িতে নগদ ৮০ লক্ষ! চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআই-এর জালে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান
মামলাকারী রমেশ মালিকের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম বন্দোপাধ্যায় জানান, দীর্ঘ ৫ বছর ভুল প্রশ্নে বাড়তি এক নম্বর প্রদানের তথ্য লুকিয়েছে পর্ষদ। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে তার প্রতিফলন রয়েছে।
মামলাকারী সৌমেন নন্দীর আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, সাদা খাতা জমা দিয়ে প্রাথমিকে চাকরির অভিযোগ মান্যতা পেলো প্রাথমিক ভাবে। সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্ট সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। রায়ের ৫১ নম্বর পাতায় সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্টে উল্লেখ, টেট ২০১৪-তে না বসেই চাকরি পেয়েছেন পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। তিনি সাড়ে সাত লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি পান নদিয়ার হবিবপুরের স্কুলে।