সংসদের তরফে বলা হয়েছে এখনও উচ্চ মাধ্যমিকের রিভিউ চলছে। কোথাও একটা পরীক্ষা দিয়ে আর দেয়নি এমনও ঘটনা রয়েছে। এমনকি অনেকেই পরীক্ষায় বসেইনি। তাই করোনা পরিস্তিতি মাথায় রেখে যথেষ্ট উদারভাবে খাতা দেখা হলেও পাশের হার ছিল ৯৭%। যারা পাশ করেনি সেই সমস্ত এমন ১৪ হাজার ২০০ আবেদন পড়েছিল রিভিউয়ের জন্য। সেগুলোই পর্যালোচনা করেছে সংসদ।
advertisement
তবে নতুন সিদ্ধান্তে ১৮০০০ ফেল করা ছাত্র ছাত্রীকেও নতুন করে পাশ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার বিষয়টিকে সহানুভুতির সঙ্গে দেখতে বলতেই ১০০ % পাশ করানো হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকে। এমনটাই জানাচ্ছে শিক্ষা সংসদ।
প্রসঙ্গত, কোভিড বাড়বাড়ন্তের জেরে এবছর হয়নি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই এবার কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মুর্শিদাবাদের এক সংখ্যালঘু কন্যা এই বছর মেধার শীর্ষে সেটুকু জানানো হয়েছে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। কোভিড আবহে এবার যেমন ফল প্রকাশ এক বিশেষ ঘটনা, তেমনি উচ্চমাধ্যমিকের ইতিহাস নজির গড়েন ওই কন্যাও।
তবে ফলপ্রকাশের পর থেকেই ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের পাশ করানোর দাবি ওঠে রাজ্য জুড়ে। জেলায় জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। যার আঁচ এসে পৌঁছয় কলকাতাতেও। সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান শহরের ও জেলা থেকে আসা ছাত্র ছাত্রীরা। এরপরেই এই বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতা করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেন উদারভাবে বিষয়টি দেখতে। দফায় দফায় শুরু হয় শিক্ষা দফতর ও সংসদের বৈঠক। এরপরেই আজ সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।