মূলত সব ছাত্রছাত্রী যাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পায় তার জন্যই এই নির্দেশিকা বলেই সংসদ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই নির্দেশিকা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুলগুলিতে ও একাধিক মতামত উঠতে শুরু করেছে। সংসদের নির্দেশিকাকে স্বাগত জানালেও স্কুলগুলিতে ভাবাচ্ছে একাধিক বিষয় নিয়ে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দেশিকা নিয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠ এর প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন "যে স্কুলগুলিতে আসন বাড়ানোর দাবি রয়েছে সেই স্কুলগুলির ক্ষেত্রে সংসদের এই নির্দেশিকা সাহায্য করবে। আমরা ইতিমধ্যেই ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক করে সংসদে প্রস্তাব দিয়েছিলাম আসন বাড়ানোর জন্য। এই নির্দেশিকা আমাদের স্কুলের ক্ষেত্রে অনেকটাই সহযোগিতা করবে।"
advertisement
যদিও ভিন্ন মতামত পোষণ করছেন যোধপুর পার্ক বয়েজ-এর প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার। বলেন "এখন অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে অসুবিধা হবে না। আমরাও আমাদের স্কুলে ঠিকভাবে ক্লাস নিয়ে নিতে পারব। কিন্তু অনেক স্কুলে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতে পারে। এক একটি ক্লাস রুমে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে বসতে হবে। এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে পরিচালনা করা অসুবিধা হয়ে যেতে পারে।"
শিক্ষক সংগঠন গুলির একাংশের মতে এই নির্দেশিকার ফলে শহরে স্কুলগুলির ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা না হলেও প্রান্তিক অঞ্চলের স্কুলগুলি অনেকটাই সমস্যার মুখে পড়বে। যেসব স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা কম রয়েছে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে সেই স্কুলগুলি কী ভাবে আসন সংখ্যা বাড়াবে তা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছে শিক্ষক সংগঠন গুলি।
ইতিমধ্যেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে কবে থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে, বাইরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কবে থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া করতে হবে বিস্তারিত বিষয় জানিয়েছে সংসদ।বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস অনলাইনেই চলছে। সে ক্ষেত্রে সংসদের এই নির্দেশিকা প্রাথমিকভাবে খুব একটা সমস্যার মধ্যে ফেলবে না বলেই মনে করছে প্রধান শিক্ষকদের একাংশ।
অন্যদিকে বুধবারই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ৩০শে জুলাই পর্যন্ত স্কুলগুলি উচ্চ মাধ্যমিকের রিভিউ-এর জন্য আবেদন জমা দিতে পারবে। পাশাপাশি বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন স্কুল অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের সংশোধিত মার্কশিট নিয়ে গেছে সংসদের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়