উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই বিজ্ঞপ্তি নতুন করে জল্পনা বাড়িয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা কেনই বা যোগাযোগ করবেন সংসদের আঞ্চলিক কার্যালয় গুলির সঙ্গে? বা অসন্তুষ্ট ছাত্র-ছাত্রীরাই বা কেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে? তার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। যদিও এই বিজ্ঞপ্তি কেন? সেই বিষয়েও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে নির্দিষ্টভাবে কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা জমা দিতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় ই-মেইল মারফত সংসদে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল থেকে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা।
advertisement
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ রাজ্যকে যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, রাজ্যব্যাপী ৩৬২০ স্কুল থেকে ছাত্র ছাত্রীরা অকৃতকার্য হয়েছেন এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। ২০ হাজারের কম অকৃতকার্য হলেও এত সংখ্যক স্কুল থেকে কী করে ফেল করল তা নিয়ে তাজ্জব স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের সবথেকে বেশি সংখ্যক স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্র-ছাত্রীরা ফেল করেছে। অন্তত সংসদের তরফে দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব প্রত্যেকটি জেলাশাসককেও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মূলত শনিবারের পর সোমবারও জেলাজুড়ে যে ভাবে বিক্ষোভ হয়েছে তা নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসকদেরও। সব মিলিয়ে সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জল্পনা আরও বাড়ল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
