করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে ছাত্র ভর্তি করা হবে? বিশেষত যেখানে চলতি বছরে করোনার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিতেই পারেনি রাজ্য সরকার। পাশাপাশি সিবিএসসি ক্লাস টুয়েলভে পরীক্ষা এবং আই এস সি পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি করোনা পরিস্থিতির কারণে। ফলত কী উপায়ে কলেজগুলিতে প্রথম বর্ষের ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করানো সম্ভব তা নিয়ে এবার আলোচনা করতে চাইছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
advertisement
প্রসঙ্গত গত বার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র ভর্তি নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসে। বিশেষত প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে নাকি নাকি নম্বরের মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি হবে তা নিয়ে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও শেষমেষ রাজ্যের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয় যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। তাই এবার রাজ্য এক্ষেত্রে কী অবস্থান নিতে চাইছে ছাত্র ভর্তি নিয়ে সেদিকেই তাকিয়ে উপাচার্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপাচার্য বলেন "যেভাবে ছাত্রছাত্রীরা নম্বর পাবেন সেক্ষেত্রে প্রথম বর্ষের ভর্তি কী ভাবে সম্ভব তা নিয়ে আমরাও চাই সরকারের তরফে কোনও নির্দিষ্ট রূপরেখা দিয়ে দেওয়া হোক।"
ইতিমধ্যেই যাদবপুর,কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতি শুরু করেছে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে। সেক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যাবে নাকি তা নিয়েও রাজ্যের অবস্থানের দিকে তাকিয়ে উপাচার্যরা। তবে শুধু ছাত্রভর্তি নয়, সূত্রের খবর পরীক্ষাগুলি নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামীকালের বৈঠকে।
বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা গুলি নিয়ে একটি পর্যালোচনা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে ব্রাত্য বসু দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম যে বৈঠক করেছিলেন উপাচার্যদের নিয়ে সেটি ছিল কার্যত সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। কিন্তু এবারের বৈঠকে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পর্কে কিছু রিপোর্ট এবং পরীক্ষা-ভর্তি নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে ত কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়