মূলত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর বেতনক্রম অনুসারে অধ্যাপকদের পদোন্নতি ও বেতন হয় থাকে। এতদিন পর্যন্ত এই আইন মেনেই রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতি হত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অধ্যাপকের অভিযোগ হঠাৎ করেই রাজ্য উচ্চ শিক্ষা সংসদ এই পদোন্নতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা ঘিরছে, ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস ৫ জেলায়! জাঁকিয়ে শীত কবে? আবহাওয়ার বড় খবর
advertisement
কোনও অধ্যাপক যখন প্রথম কলেজে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত হন তার চাকরির সময়কালে আইন অনুযায়ী মোট তিনবার পদোন্নতি হয়। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদেই চাকরিতে যুক্ত হন। প্রথমে একই পদে দু’বার পদোন্নতি হওয়ার সুযোগ থাকে। যুক্ত হওয়ার সময় থাকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ‘স্টেজ ওয়ান’, পদোন্নতি হয় অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ‘স্টেজ টু’ এবং ‘স্টেজ থ্রি’ পদে।
চতুর্থ বার পদোন্নতি হয় পদ পরিবর্তনের সঙ্গে। অর্থাৎ তখন তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর থেকে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদে যান। তবে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদোন্নতির সময় ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী পিএইচডি বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মীদের সরস্বতী পুজোর ছুটি কবে? রবি না সোম? না জানলে বিপদে পড়বেন!
উল্লেখ্য, যারা পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত তাঁরা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে কাজে যুক্ত হওয়ার পর থেকে মোট চার বছর পর উপযুক্ত হন প্রথম পদোন্নতির জন্য। এমফিল থাকলে তাঁরা পান পাঁচ বছর, এবং যাঁদের কোনও ডিগ্রি নেই তাঁরা পদোন্নতির উপযুক্ত হন ছ’বছরে।
তৃতীয় বার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে পদোন্নতির সময় ডিগ্রি-র মাপকাঠি থাকে না, তার পরিবর্তে থাকে অধ্যাপনার সময়ের ব্যবধান পাঁচ ও তিন বছরের। মূলত অভিযোগ একাধিক অধ্যাপকের ২০২১-র জানুয়ারি থেকে কোনও স্তরেই পদোন্নতি হচ্ছে না।
উচ্চ শিক্ষা সংসদের এক আধিকারিক জানান, ২০১৯ রোপা আইন অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন (ইন্টারিম) ফিকসেশন দেওয়া বন্ধ। রোপা আইন রাজ্যের বেতনক্রমের অধীনে। অধ্যাপকদের অভিযোগ যেখানে ইউজিসি-র বেতনক্রম অনুযায়ী মাইনে হয়, সেখানে কেন আসছে অন্তর্বর্তীকালীন ফিকসেশন বন্ধ হওয়ার বিষয়।
মূলত, পদোন্নতি সংক্রান্ত সমস্ত কাজ বিকাশভবন সূত্রেই করা হয়। প্রায় ২ হাজারের কাছে অধ্যাপকের পদন্নোতির কাগজ বিকাশভবনে টেবিলেই পড়ে রয়েছে। আদৌ পদোন্নতি হবে কি না তা নিয়েও সংশয় অধ্যাপক মহলের একাংশের। যদিও অধ্যাপকদের একাংশের দাবি শীঘ্র সুরাহা না হলে তাঁরা আইনি পথ বেছে নেবেন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়