এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। কালো কাপড় দিয়ে চোখ বন্ধ অবস্থায় তারা পড়ে ফেলতে পারে বিভিন্ন লাইন। বলে দিতে পারবে সময়, শব্দ এমনকি সংখ্যাও। প্রথমে দেখে অবিশ্বাস্য হলেও প্রমাণসহ করে দেখিয়েছে এই ক্ষুদে পড়ুয়ারা। বিশেষ এই ব্লাইন্ড ডিটেকশন খুদে পড়ুয়াদের।
তারা নাকি শুধুমাত্র অনুভব করে, গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারে এ সকল জিনিস। কেউ চোখ বন্ধ অবস্থায় চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সাইকেল। চালাতে পারে মোবাইল। চোখ বন্ধ করে বইয়ের প্রতিটি লাইন, সংখ্যা, রঙের নাম বলতে দিতে পারে। অন্ধের যেমন লাঠির প্রয়োজন হয়, এদের তাও হয় না। এই সামান্য ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা ভরসাও করে না লাঠির উপর। চোখ বন্ধ অবস্থায় তারা চালাতে পারে মোবাইল।
advertisement
চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পিছলে গেল পা! ভয়ঙ্কর দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল…দেখলে শিউরে উঠবেন!
বিশেষ এই পদ্ধতি সম্পূর্ণটাই হয় মন থেকে। স্বাভাবিক চোখ খোলা থাকলে মানসিক বিকাশ যা হয়। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে চোখ বন্ধ থাকলে বাকি চারটা ইন্দ্রিয় বেশি পরিমাণে কাজ করে। মানসিক বিকাশ এবং বুদ্ধিমত্তা বিকাশের সেই প্রশিক্ষণ দেন এক দম্পতি। তবে ছোট্ট ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের প্রতিভা দেখলে আপনিও অবাক হবেন। ওদের মধ্যে কেউ পড়ে প্রথম শ্রেণী, কেউ দ্বিতীয় শ্রেণী আবার কেউ পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণী। তবে তাদের প্রতিভা দেখলে অবাক হতে হয়।
জীব বিজ্ঞানের ভাষায়, মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয়, চোখ, কান, নাক, জিভ এবং ত্বক। এই পাঁচটি ইন্দ্রিয় দিয়ে মানুষ সারা দিনের দিন যাপন করে। তবে বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন তার চোখের উপর। তবে এই সকল পড়ুয়া একদিকে যেমন চোখে দেখেও ভালোভাবে বুঝতে পারে, অনুভব করেও বলে দিতে পারে রং, সংখ্যা, শব্দ এমনকি বাক্যও। ওদের সামনে যে কোনও লেখা ধরা হলে তারা অনায়াসে বলে দিতে পারে। তবে কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে তারা? পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার এক দম্পতি প্রশিক্ষণ দেন এই বিশেষ বুদ্ধিমত্তার। বিজ্ঞান নির্ভর এই বুদ্ধিমত্তা সাড়া ফেলেছে সকলের মধ্যে।
না! এটা কোনও আধ্যাত্মিকতা নয়, এটা রূঢ় বাস্তবতা। বিজ্ঞান জীববিদ্যার বিষয় এবং বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ছোট্ট ছোট্ট খুদেদের এই প্রতিভাকে প্রশংসা জানিয়েছেন সকলে।