আরও পড়ুনঃ ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন কেন বাতিল? তদন্তের ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছে সরকার মনোনীত এই দুই সদস্য। রবিবার অর্থাৎ কালীপুজোর দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই চিঠি দিয়েছে সরকার মনোনীত ২ সদস্য বলেই জানা গেছে। যদিও এ ব্যাপারে যা বলার বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই বলা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় যে তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে অন্তত সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য।
advertisement
প্রসঙ্গত শনিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী। কেন বিএড কলেজগুলোর অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে? মূলত বিএড কলেজ গুলোর বিরুদ্ধে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ, দ্বিতীয়ত বারবার বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে দমকলের এনওসি বা “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট” দেওয়ার কথা বলা হলেও একাধিক বি.এড কলেজ সেক্ষেত্রে ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়েছে বলে অভিযোগ, তৃতীয়ত একাধিক বিএড কলেজে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষক না থাকার অভিযোগ। এই কারণগুলোর জন্যই চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য ২৫৩ টি বি.এড কলেজের অনুমোদন বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় বলেই দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। আর এবার সেই কলেজগুলির অনুমোদন কেন বাতিল হল তা নিয়ে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ শিক্ষা মন্ত্রী।
শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন “পরিযায়ী উপাচার্যরা এই ধরনের অনেক সিদ্ধান্তই নিচ্ছেন। কেন এই কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করা হল তা আমাদের দফতরের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করে দেখা হবে।” শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়েই তদন্ত শুরু করবে রাজ্য? যদিও রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে ৬২৪টি বি.এড কলেজের মধ্যে ২৫৩ টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়াকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। বিশেষত যাঁরা শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেন তাঁদেরই যদি প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকে এবং তাঁরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না পায়, তবে পরবর্তী প্রজন্মদের কীভাবে শিক্ষা দেবেন? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শুক্রবার দাবি করেছিলেন “আমরা একাধিকবার কলেজগুলিকে জানিয়েছিলাম এই বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক করে। তারপরেও কলেজগুলি না করায় আমরা এই অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।” যদিও বেশ কয়েকটি কলেজ আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আদালত কলেজগুলির দাবি খারিজ করে দিয়েছে। তবে শনিবারের শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএড বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “আমি পরিযায়ী কোথায় হলাম? ২০২২ সালে ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।” বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য এই কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করা হলেও আগামী বছর তাঁদের কাছে সুযোগ থাকছে নতুন করে অনুমোদন নেওয়ার। সেক্ষেত্রে যে বিষয়গুলির জন্য তাঁদের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে তাঁদেরকে সেই বিষয়গুলিকে সংশোধন করতে হবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়।