বিয়ের পর কিছু বছরের মধ্যেই মা হলেন এই তরুণী৷ কিন্তু বিবাহিত জীবনে সংসারের চাপে, দায়িত্বের ভারেও মরে যায়নি তাঁর পড়াশোনার ইচ্ছে৷ কিন্তু তাঁর স্বপ্নপূরণের সাধ্য ছিল না সংসারের৷ বাধ্য হয়ে চাষের মাঠে শ্রমিকের কাজ নিলেন তিনি৷ স্ত্রী এবং মায়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এগিয়ে নিয়ে গেলেন উচ্চশিক্ষা৷ রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পর সম্পূর্ণ করলেন গবেষণা৷
advertisement
রোজ কাকভোরে ওঠেন ঘুম থেকে৷ ঘর গৃহস্থালির কাজ সেরে পৌঁছন গ্রাম থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের কলেজে৷ দীর্ঘ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে তার পর পান কলেজে পৌঁছনর বাস৷ ফেরার সময়েও সঙ্গী পথশ্রম৷ কিন্তু শ্রান্তি ভুলে তৃপ্তি হাসি ফুটে ওঠে তাঁর ঠোঁটে যখন এসে পৌঁছয় পিএইচডি-র শংসাপত্র৷
সংবাদমাধ্যমে সাকে জানিয়েছেন তাঁর সংকল্প পূরণে পাশে ছিলেন স্বামী৷ উৎসাহ দিয়েছেন, সমর্থন করেছেন স্ত্রীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে৷ পিএইচডি সম্পূর্ণ করার পর সাকে বলেছেন ‘‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চাই৷ ছোটবেলাতেই অনুভব করেছিলাম শিক্ষাই পারে মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য তাৎপর্য বয়ে আনতে৷ সেই অনুভবই আমাকে উচ্চশিক্ষার পথে নিয়ে গিয়েছে সংসারে অভাব সত্ত্বেও৷ পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে৷ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে স্কলারশিপও যথেষ্ট সাহায্য করেছে আমাকে৷’’
তাঁর স্বামীও পেশায় ভূমিহীন কৃষিমজুর৷ জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষায় স্ত্রীর সাফল্যে তিনি খুশি৷ ‘‘ওর ইচ্ছে ছিল জীবনে বড় কিছু করার এবং শেষ পর্যন্ত সেটা ও করতে পেরেছে৷’’ বলছেন গর্বিত স্বামী৷