স্কুল শিক্ষা দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির স্তরে শিক্ষক চাকরি বাতিলের জেরে রাজ্যের ৩১২৫টি স্কুলে প্রভাব পড়তে চলেছে। এই স্কুলগুলির কোথাও একজন, কোথাও বা দুজন শিক্ষক পর্যন্ত চাকরি হারিয়েছেন। এর ফলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠদান কার্যত বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
advertisement
নবম-দশম স্তরে সংকট আরও ভয়ঙ্কর
শুধু উচ্চ মাধ্যমিক নয়, নবম ও দশম শ্রেণির স্তরেও একই অবস্থা। চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে ৫৪২৬টি স্কুলে শিক্ষার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এদের অনেকেই মূল বিষয় যেমন বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান পড়াতেন।
গ্রুপ সি ও ডি স্তরেও ব্যাপক প্রভাব
শুধু শিক্ষক নয়, স্কুলের প্রশাসনিক পরিকাঠামোতেও ধাক্কা লাগছে। গ্রুপ সি বিভাগের চাকরি বাতিলের ফলে প্রভাব পড়ছে ২২১৫টি স্কুলে। গ্রুপ ডি বিভাগের চাকরি বাতিলের প্রভাব পড়তে চলেছে ৩৮৮৫টি স্কুলে।
এই দুই স্তরের কর্মীদের অনুপস্থিতিতে স্কুলের দৈনন্দিন কাজকর্ম, রক্ষণাবেক্ষণ, ছাত্রছাত্রীদের নথিপত্র পরিচালনা ও অন্যান্য লজিস্টিক বিষয় ব্যাহত হবে বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা।
ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত শিক্ষা মহল
দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলেই অন্তত একজন কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। অনেক স্কুলে দুজন বা তারও বেশি সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন। এর ফলে পঠন-পাঠন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাজ—সব কিছুর উপরই ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সংগঠন ও অভিভাবকেরা।
সমাধান কোথায়?
স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে আপাতত এই শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।