৯ বছর আগের আয়লা এখনও ভোলেনি দিগম্বরপুর। প্রকৃতির রোষে এই জনপদ কার্যত পথে বসেছিল। এমন একটা জায়গা থেকে শুরু হয়েছিল ঘুরে দাঁড়ানো। কয়েক বছরের মধ্যে সেই পরিশ্রমের ফল মিলল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথরপ্রতিমার এই পঞ্চায়েত এখন দেশের সেরা। প্রাথমিকভাবে লড়াইয়ে ছিল দেশের আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রকল্প তৈরি, তার রূপায়ণ এবং চতুর্দশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ-সহ কয়েকটি বিষয় ছিল পুরস্কারের মাপকাঠি। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে এক হাজার পঞ্চায়েত বেছে নেওয়া হয়। রাজ্য কাজের নিরিখে এগিয়ে থাকা পাঁচটি পঞ্চায়েতও ছিল লড়াইয়ে। সাতটি মাপকাঠির নিরিখে জাতীয় স্তরে সেরা হয়েছে বাংলার দিগম্বরপুর। বর্ধমান, বীরভূম এবং পুরুলিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতও বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে। ফার্স্টবয় হওয়ার জন্য দিগম্বরপুর পাচ্ছে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার।
advertisement
আরও পড়ুন---> বর্ধমান স্টেশনের আট নম্বর প্ল্যাটফর্ম, সুজন-শাহজাহানদের পড়াশুনার ঠিকানা
কেন সবার আগে দিগম্বরপুর ? এই পঞ্চায়েতের সমস্ত হিসেব-নিকেশ কম্পিউটারে আপলোড হয়। পিছিয়ে পড়া অংশ অর্থাৎ শিশু এবং মহিলাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা এখানে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে হচ্ছে। এলাকায় জৈব চাষে জোর দেওয়া হয়েছে। কঠিন ও তরল বর্জ্য থেকে সার তৈরি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি বাল্য বিবাহ রুখতেও এই দিগম্বরপুর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে।
২০০৩ সাল থেকে এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নে এগিয়েছে শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েতের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন গত কয়েক বছরে রাজ্য পঞ্চায়েত স্তর একাধিক কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের এই শংসাপত্র শাসক দলকে আরও অক্সিজেন দিল।