১২ হাজার এক্সিকিউটিভ কর্মী কাজ করেন দিল্লি মেট্রোর ট্রান্সপোর্ট বিভাগে ৷ সঙ্গে রয়েছেন ৯ হাজার নন-এক্সিকিউটিভ কর্মী ৷ গত ১৯ জুন থেকে দিল্লির যমুনা ব্যাঙ্ক মেট্রো স্টেশন এবং সহদরা স্টেশনে আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন নন-এক্সিকিউটিভ কর্মীরা ৷ এবার অন্য কর্মীদেরও ওই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রতিবাদী কর্মীরা ৷
advertisement
বেতন বৃদ্ধি, স্টাফ কাউন্সিলের উন্নতিকরন, কর্মী স্যাকিংয়ের যথোপযুক্ত গাউডলাইনের মতো আটটি দফা সামনে রেখে বিক্ষোভে নামতে চলেছে দিল্লি মেট্রোর কর্মী সংগঠনের একটি বড় অংশ ৷ সংগঠনের তরফে ইতিমধ্যেই দাবিদাওয়ার খসড়া দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:পেট্রোপণ্য-কে জিএসটির আওতায় আনা সহজসাধ্য ব্যাপার নয় : কেন্দ্রীয় অর্থসচিব
কর্মী সংগঠনের সেক্রেটারি রবি ভরদ্বাজ জানালেন, ডিএমআরসি (দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন)-এর স্টাফ কাউন্সিলের পরিবর্তনই আমাদের প্রাথমিক দাবি ৷ সঙ্গে রয়েছে আইডিএ (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স) দেওয়ার দাবিও ৷
মেট্রো রেলের এক সিনিয়র আধিকারিকের কথায়, এই বিক্ষোভের জেরে মেট্রো রেল পরিষেবা ব্যাপক সমস্যায় পড়তে পারে ৷ তবে কর্মীদের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখে সমস্যার আশু সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ ৷ ওই আধিকারিকের দাবি, গত কয়েকদিনের প্রতিবাদে মেট্রো পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল ৷
আরও পড়ুন: মার্কিন সংবাদপত্র দফতরে গুলিবৃষ্টি, হত অন্তত ৫
অন্যদিকে, নরম পথে কাজ না হলে গরম পথ বেছে নেওয়ার ডাক দিয়েছেন রবি ভরদ্বাজ ৷ সংবাদ মাধ্যমের সামনে এদিন তিনি বলেন, এতদিন প্রতিবাদের চিহ্ন হিসাবে হাতে কালো ব্যান্ড পরে ঘুরেছেন সমস্ত কর্মীরা ৷ কিন্তু এরপরেও যদি কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবিদাওয়া মানতে না চায় তাহলে কাজকর্ম সম্পূর্ণ বন্ধ করে অনাহারে বসার হুমকি দিয়েছেন প্রতিবাদী কর্মীরা ৷