গতকাল রাত ১১টা নাগাদ ক্যাম্পাস ছেড়ে বের হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস-সহ উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ ও এক্সকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা । ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের মধ্যেই বেরিয়ে যান তাঁরা। বুধবার বিকেল থেকে ঘেরাও হয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরিয়ে যান উপাচার্য। তখনও আন্দোলনকারীদের স্লোগানে সরগরম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
আরও পড়ুন:সরকারি খরচ কমাতে এক দফা কড়া নির্দেশিকা জারি মুখ্যমন্ত্রীর
advertisement
ভরতির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে ঘেরাও আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা। যা নিয়ে অসন্তোষের সুর ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের গলায়।
এরই মধ্যে এদিন যাদবপুরে ভর্তির সূচিও ঘোষণা হয়েছে। ১৯ জুলাই মেধাতালিকা প্রকাশ হবে ৷ ২৯ তারিখ বাদ দিয়ে ২৭ থেকে ৩১ পর্যন্ত চলবে ভর্তি ৷
ভর্তি নেওয়া হবে উচ্চ-মাধ্যমিকে নম্বরের ভিত্তিতে ৷ এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে ভরতির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও কেন তা বদলানো হল? প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের।
তবে এক্ষেত্রে উপাচার্যের ব্যাখ্যা, প্রবেশিকা পরীক্ষায় বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ আনার সিদ্ধান্ত হয় ৷ এ নিয়ে আপত্তি ছিল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের ৷ ১৫ জন সদস্যের ৯ জন প্রবেশিকা তোলার পক্ষে ছিলেন ৷ বাকিরা ৬ জন প্রবেশিকার পক্ষেই মত দেন ৷ পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত বদল করেন ৬ সদস্য ৷ শুধুমাত্র এই বছরের জন্য প্রবেশিকা তুলতে সায় দেন তাঁরা ৷ অর্থাৎ সর্বসম্মতিতেই ইসি'র এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি উপাচার্যের। যদিও তা মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।
এই সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছেন বেশ কিছু অধ্যাপকও। প্রবেশিকা তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার যাদবপুরে কর্মবিরতির ডাক শিক্ষক সংগঠন জুটার। এতে বেশ কিছু বিভাগের পঠনপাঠন বন্ধ থাকার আশঙ্কা। ভর্তি প্রক্রিয়া অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপকরা ৷