পড়ুন : যক্ষ্মা নির্মূলে তৎপর কলকাতা পুরসভা, জারি নির্দেশিকা
রবিবার সকালে হঠাৎই হাসপাতালের এসএনসিইউ-এর বাইরে চেঁচামিচি জুড়ে দেন এক প্রসূতি। অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি তাঁর একদিনের শিশুকন্যাকে খুঁজেই পাচ্ছেন না। ঝুমা মণ্ডল নামে ওই গৃহবধূ বাঁকুড়ারই কুকড়াঝোর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার দুপুরে বাড়িতেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ঝুমা। কিন্তু সদ্যোজাতর শ্বাসকষ্ট থাকায় ও নাভি থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হওয়ায় বিকেলে ঝুমা এবং তাঁর মেয়েকে বাঁকুড়া মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগের ভর্তি করা হয়। শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে এসএনসিইউ-এ স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। রবিবার সকালে সেখানেই মেয়েকে দুধ খাওয়াতে গিয়েছিলেন ঝুমা। আর তারপরই এই হইচই।
advertisement
বিস্তারিত পড়ুন : বাঁশদ্রোণীতে বেআইনি মজুত বারুদে বিস্ফোরণ, এলাকায় চাঞ্চল্য
সদ্যোজাত সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে অভিযোগ করেন ঝুমা। কিন্তু তাঁর আচরণে সন্দেহ হয় বাকিদের। শুরু হয় জেরা। চাপের মুখে মেয়েকে দোতলার জানলা দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন ঝুমা। এরপর হাসপাতালের নিকাশি নালায় শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। চিকিৎসকদের ঝুমা জানান, মেয়ে অসুস্থ হওয়াতেই তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি!
খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে তারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ঝুমা ও তাঁর স্বামী সঞ্জয় মণ্ডলকে। সঞ্জয়ের দাবি, তাঁর স্ত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তার জেরেই এই ঘটনা কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
