চলতি মাসের ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ সফর শুরু শুভেন্দুর। ওই দু'দিন তাঁর মালদা ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় সভা ও দলীয় কর্মসূচি করার কথা। রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাটের সাংসদ হিসাবে ওই কর্মসূচিতে শুভেন্দুর পাশে থাকবেন সুকান্তও। এরপরেই, নতুন বছরের গোড়াতে পাহাড়ের তিন কেন্দ্র দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং-এ দলীয় কর্মসূচি সারবেন শুভেন্দু।
advertisement
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের গাড়িতে বান্ডিল-বান্ডিল টাকা, জলপাইগুড়ির ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি মমতার
রাজ্যে '১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জেতা বিজেপির ১৮টি আসনের মধ্যে সিংহভাগই ছিল উত্তরবঙ্গের। লোকসভা আসনের নিরিখে উত্তরবঙ্গের ৮টি আসনের মধ্যে ৭ টিতেই জিতেছিল বিজেপি। আর, '২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই লোকসভায় এ রাজ্যে রাজনৈতিক জমি ধরে রাখতে হলে, বিজেপিকে নজর দিতেই হবে উত্তরবঙ্গে। সেই লক্ষ্য পূরণেই শুভেন্দুর এবারের উত্তরবঙ্গ সফর।
নতুন বছরে এখনও পাহাড় কিংবা উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কোনওকিছু ঘোষণা করেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে, সাধারণভাবে ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন পালন ও নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে দার্জিলিং-এই থাকেন মমতা। সেদিক থেকে জানুয়ারিতে শুভেন্দু-মমতার দ্বৈরথের স্বাক্ষী হতে পারে পাহাড়।
তবে, শুভেন্দুর এবারের কর্মসূচিতে আরও একটি রাজনৈতিক তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা। সেটা হল, এবার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গ ও পাহাড় সফরে থাকছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
আরও পড়ুন: দাবাং স্টাইলে পুরুলিয়া ফিরলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়
গত কয়েক মাস ধরে, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে একই মঞ্চে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের থাকা ও না থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা আর চর্চা হয়েছে বিজেপিতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসলে, এবার এই যৌথ সফরের কারণ একাধিক। প্রথমত, এবারের সফর উত্তরবঙ্গে। রাজ্য সভাপতি সুকান্তর নিজের গড়ে। ফলে, এই কর্মসূচি থেকে দূরে সরে থাকার সুযোগ নেই সুকান্তর। আর, থাকলেও তা হাতছাড়া করতে চান না তিনি।
অন্যদিকে, বালুরঘাটের সাংসদ ও রাজ্য সভাপতিকে বাদ দিয়ে উত্তরবঙ্গে সভা হলে, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যম আরও জল ঘোলা হবে। তাই, মালদা, দিনাজপুর দিয়ে শুরু উত্তরবঙ্গের দলীয় কর্মসূচিতে সুকান্ত বা শুভেন্দু রাজনৈতিক কারণেই পরস্পরের কাছে অপরিহার্য।