এদিন আস্থাভোটে যোগ দেয়নি হামরো পার্টি। জানা গিয়েছে, পুর সমস্যার সমাধানে হাইকোর্টের পরে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন অজয় এডওয়ার্ডরা।
হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আজ, বুধবার অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার কথা ছিল দার্জিলিং পুরসভায়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও সেখানে উপস্থিত হননি হামরো পার্টির ১৪ জন কাউন্সিলর। তবে উপস্থিত ছিলেন বিজিপিএম-এর ১৪ জন ও তৃণমূলের ২ জন কাউন্সিলর। পরে বিদায়ী চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন, এই আস্থাভোটে তাঁরা অংশ নেবেন না। অনীত থাপাদের বিরুদ্ধে কাউন্সিলর কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছেন হামরো পার্টির নেতারা।
advertisement
এদিনের আস্থাভোট ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা ছিল গোটা দার্জিলিঙে। থমথমে ছিল পরিস্থিতি। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।। দার্জিলিঙ জুড়ে জারি ছিল ১৪৪ ধারা। রাখা হয়েছিল কমব্যাট ফোর্স, স্ট্যাকো ফোর্স।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা করবে বর্ধমান মেডিক্যাল, রেণু খাতুনের হাত প্রতিস্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ জেলা পরিষদের
গত ২৪ নভেম্বর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ৬ জন কাউন্সিলর বৈঠকে বসার জন্য নোটিস দেন। কিন্তু সেই বৈঠক হয়নি। এর পর গত ১৩ ডিসেম্বর ভাইস চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি জানানো হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক করতে চেয়ে আলোচনায় বসেন কয়েকজন কাউন্সিলর।
এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হামরো পার্টির রীতেশ পোর্টেল এবং আরও কয়েক জন। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, অনাস্থা প্রস্তাব আনায় কোনও বাধা নেই।
মোট ৩২ আসনের দার্জিলিং পুরসভায় ১৮টি আসনে জিতে বোর্ড দখল করে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৯টি এবং তৃণমূল ২টি আসন পায়। বিমল গুরুংয়ের জনমুক্তি মোর্চা জয়ী হয় তিনটি আসনে। এর পরে জিটিএ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার এক জন কাউন্সিলর ইস্তফা দেন। এর ফলে, কাউন্সিলর সংখ্যা ৩১ হয়। এরপর, সম্প্রতি হামরো পার্টির ছ’জন কাউন্সিলর প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দিয়েছেন। তাতে তাদের কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪।
অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটির ঠিক আগের দিনই অর্থাৎ, মঙ্গলবার তাৎপর্যপূর্ণভাবে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিমল গুরুং, বিনয় তামাং এবং অজয় এডওয়ার্ডকে। এডওয়ার্ড অবশ্য জানিয়েছিলেন, অনৈতিক ভাবে দার্জিলিং পুরবোর্ড দখলের চেষ্টা করছেন অনীত থাপারা। বিমল গুরুঙের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টাও করেছিলেন। তবে আর রাজনৈতিক ভাবে নয়, আপাতত আদালতের পথে হেঁটেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চলেছে এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি।
