মৃত দুই মেয়ের নাম হরিনি (১২) ও লাস্যা (৮)। শাইনি নামের ৩ বছরের মেয়েটি প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। ইয়াদাদরি ভোঙ্গির জেলার রামনগরের ছোটুপ্পাল গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রায় ১৪ বছর ধরে দাম্পত্যে ছিলেন উমারানি ও ভেঙ্কটেশ। স্বামী বাড়ির বাইরে বিছানা করে ঘুমোতেন। বাড়ির ভিতরে তিন মেয়েকে নিয়েই থাকতেন মা। বৃহস্পতিবার সকালে ছোট মেয়ের কান্না ও চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘরের ভিতরে ছুটে যান ভেঙ্কটেশ। কিন্তু ঘরের দরজা ভিতর থেকে আটকানো ছিল।
advertisement
প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে কোনও মতে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন ভেঙ্কটেশ। সেখানেই দুই মেয়ে ও স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। উমারানি, হরিনি ও লাস্যা সেখানেই মারা গিয়েছিল। তবে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করছিল শাইনি। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচান বাবা।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তুমুল আর্থিক অনটনে ভুগছিল গোটা পরিবার। যদিও অনেকের মতে, স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতেই এভাবে নিজেদের শেষ করার চরম পথ নিয়েছেন উমারানি। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, মাঝে মাঝেই মদ খেয়ে তুমুল অশান্তি চলত বাড়িতে। আর্থিক সংটকও ছিল। সে কারণেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা। এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।