ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত বিনয় এবং তার এক সঙ্গী নাবালককে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। পুলিশের দাবি, বিনয় জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। তবে প্রত্যেককে খুন করার পরিকল্পনা ছিল না ওই যুবকের। যাকে সে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল, সেই মেয়েটি এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুই বোন কীটনাশক মেশানো জল খেয়ে মারা গিয়েছেন ঘটনাস্থলেই।
advertisement
ঠিক কী হয়েছিল সেদিন?
পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় তিন বোনের একজনকে বিনয়ের ভালো লাগতে শুরু করে। রোজই তিন বোন মিলে খেতে গিয়ে ঘাস ও কাঠ কাটার কাজ করতে যেত। সেই সময় বিনয়ও প্রতিদিন সেখানে হাজির হত। এমনই একদিন এক বোনকে সে নিজের প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং ফোন নম্বর চায়। তবে মেয়েটি ফোন নম্বর দিতে রাজি হননি। এর পরই তাঁকে প্রাণে মারার ছক কষে বিনয়। সেই মতো সেদিন কীটনাশক মিশিয়ে দুটি জলের বোতল নিয়ে জমিতে যায়। তবে বাকি দুই বোন যে সেখান থেকে জল খাবে তা জানত না বিনয়। জল খাওয়ার পরই তাঁদের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু করলে ভয়ে পালিয়ে যায় দুই অপরাধী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়ে অপরাধীদের খোঁজ পায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনার জেরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের নিরাপত্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কী ভাবে নিজেদের জমিতে দলিত মেয়েদের উপর নির্যাতন চালানো হল তার জবাব দিতে হবে প্রশাসনকে। এটি প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে যুঝছে যে মেয়েটি, এখনও পর্যন্ত তাঁর বয়ান নেওয়া সম্ভব হয়নি।