TRENDING:

প্রযুক্তির সাথেই উন্নত 'গয়া গ্যাং', নয়া কায়দায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে ধৃত ২

Last Updated:

পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকবছর আগে বিহারের গয়া জেলার বেশ কিছু যুবক বিভিন্ন কায়দায় মানুষকে বোকা বানিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শুরু করে। দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষকে বোকা বানিয়ে শুরু হয় এদের কারবার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় 'গয়া গ্যাং' বরাবরই দেশজুড়ে খ্যাতির শীর্ষে। তেমনই পুলিশের কাছে উদ্বেগের কারণও। সেই গয়া গ্যাং নতুন করে কলকাতার সক্রিয় হওয়ায় চিন্তা বেড়েছে লালবাজারের।
advertisement

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ আসতেই জানা গিয়েছে ফের শহরে হানা দিয়েছে এই চক্র।অবশ্য সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে এই চক্রের দুই অন্যতম পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু আরও বেশ কয়েকজন এই চক্রে যুক্ত আছে বলেই জানতে পেরেছে লালবাজার। ফলে এখনও কপালে চিন্তার ভাঁজ লালবাজারের গোয়েন্দাদের।

advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকবছর আগে বিহারের গয়া জেলার বেশ কিছু যুবক বিভিন্ন কায়দায় মানুষকে বোকা বানিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শুরু করে। দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষকে বোকা বানিয়ে শুরু হয় এদের কারবার। তাই পুলিশের কাছে এরা পরিচিত 'গয়া গ্যাং' নামেই। কখনও এটিএম মেশিনে আঠা বসিয়ে কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিত। কখনও প্রবীণ নাগরিকদের এটিএম থেকে টাকা তুলতে সাহায্য করার নামে তাঁদের কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিত। এগুলো জালিয়াতির পুরনো পদ্ধতি। সময়ের সাথে আরও আধুনিক হয়েছে তারা। রোমানিয়ানদের কায়দায় এবার স্কিমিং জালিয়াতিও শুরু করেছে গয়া গ্যাং। এক্ষেত্রেও অবশ্য টার্গেট সেই প্রবীণ নাগরিক এবং যাঁরা এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারেন না তাঁরাই।

advertisement

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা বলেন, "ধৃতদের থেকে স্কিমিং যন্ত্র, ল্যাপটপ, ৩৮টি ক্লোন কার্ড মিলেছে। কত গ্রাহকের তথ্য হাতিয়েছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।"লালবাজারের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ইএম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় মাসখানেক ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল ধৃত মুদাস্সর খান ও ইরফানুদ্দিন। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নিরাপত্তারক্ষীবিহীন এটিএমকে টার্গেট করত এরা। সেই এটিএমগুলিতে কোনও বয়স্ক নাগরিক বা এটিএম ব্যবহার করতে অপারগ কেউ এলেই সাহায্যের নামে এগিয়ে যেত এরা। তারপর গ্রাহককে সাহায্য করার অছিলায় তার কার্ড নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে নিজের কাছে থাকা স্কিমার যন্ত্রে ঘষে কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিত। এরপর টাকা তুলে দেওয়ার সময় জেনে নিত পিন নম্বরও। এরপর হাতিয়ে নেওয়া তথ্য দিয়ে নকল কার্ড বানিয়ে টাকা তুলে নিত তারা।

advertisement

লালবাজারের এক গোয়েন্দা বলেন, " নিত্যনতুন পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই এদের কাজ। অনবরত পদ্ধতি বদল করে এরা। এখন প্রযুক্তির সাথে এরাও আধুনিক হয়েছে। তাই স্কিমার যন্ত্র ব্যবহার করছে।"কলকাতা থেকে গ্রাহকের তথ্য হাতানোর পর অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে টাকা তুলে নিল এরা। গতকাল শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রে আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের খোঁজ চলছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Sujoy Pal

বাংলা খবর/ খবর/ক্রাইম/
প্রযুক্তির সাথেই উন্নত 'গয়া গ্যাং', নয়া কায়দায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে ধৃত ২
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল