প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, দুই কিশোরীকেই বিষ দেওয়া হয়েছিল। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসপাতালে গিয়েছেন, গোটা ঘটনাটির সাক্ষী থাকবেন তিনি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। লখনউ থেকে একজন আইজি এবং আরেকজন ডিআইজিকে গ্রামে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাড়ির গবাদিদের জন্য জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই ঘটনায় ফের উত্তাল যোগীরাজ্যের উন্নাও।
advertisement
এই ঘটনার জেরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের নিরাপত্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, কী ভাবে নিজেদের জমিতে দলিত মেয়েদের উপর নির্যাতন চালানো হল তার জবাব দিতে হবে প্রশাসনকে। এটি প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে যুঝছে যে মেয়েটি, এখনও পর্যন্ত তাঁর বয়ান নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই তাঁদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনও অস্পষ্ট।
যে দুই কিশোরী মারা গিয়েছেন, তাঁদের বয়স যথাক্রমে ১৩ এবং ১৬। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরীর বয়স ১৭। ১৬ ও ১৭ বছর বয়সি মেয়ে দু'টি দুই বোন এবং ১৩ বছরের কিশোরীটি তাঁদের তুতো বোন বলে জানা গিয়েছে। উন্নাওয়ের এসপি সুরেশরাও এ কুলকার্নি বলেন, 'নিজেদের জমিতেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল মেয়েগুলি। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। উদ্ধার করার সময় তাঁদের মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিষ প্রয়োগের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা। নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে। সেই বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।'