হায়রাবাদের সাইদাবাদে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে ৬ বছরের একটি বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটানোর পর থেকেই অভিযুক্ত রাজু পলাতক ছিল। পুলিশ স্পেশ্যাল টিম তৈরি করে অভিযুক্ত রাজুকে খুঁজে বের করার জন্য। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, যে রাজুর সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারবে তাকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপের পরেই টি টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা বিরাট কোহলির !
পুলিশ প্রায় সর্বত্র রাজুর ছবি দেওয়া পোস্টার ছড়িয়ে দেয়। অটো, বাস, অন্যান্য পাবলিক প্লেস ইত্যাদি সব জায়গাতেই রাজুর ছবি দেওয়া পোস্টারে ভরে ফেলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় সবকটি রাস্তা ও হাইওয়ের ওপর সতর্ক নজর রাখা হয় যেন রাজু কোনও মতেই পালাতে না পারে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় সব রকম চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত রাজুর নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ সব জায়গায় তন্ন তন্ন করে অভিযুক্ত রাজুকে খুঁজলেও, রাজুর মৃতদেহ পাওয়া গেল নাশকালের জনগোয়ান জেলার রেল লাইনের ওপর। রাজুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে ঘানপুর (Ghanpur) স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ওপরে। পুলিশের হাত থেকে বাচার আর কোনও রাস্তা না পেয়েই রাজু নিজেই এই পথ বেছে নেয় বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে রাজু আত্বহত্যা করেছে। চারিদিকে পুলিশের পাহারা থাকার ফলে সে আর পালানোর কোনও পথ খুঁজে পায়নি। আর বেশি দিন সে গা ঢাকা দিয়ে থাকতেও পারত না। তাই অভিযুক্ত রাজু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এক রেলওয়ে কর্মী প্রথম রাজুর মৃতদেহ দেখতে পান। সেই রেলওয়ে কর্মী জানান কোনারক এক্সপ্রেস (Konark Express) ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে রাজু আত্বহত্যা করে। সেই রেলওয়ে কর্মীই রাজুর মৃতদেহ প্রথম দেখেন এবং ১০০ নম্বরে ফোন করে তা জানান।