এসডিএম কে?
এসডিএম আসলে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট। একটি জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিএম-এর অধীনে থাকেন তিনি। অর্থাৎ জেলায় ডিএম-এর পরেই অবস্থান করেন এসডিএম। তবে এক জন এসডিএম-এর ক্ষমতা কিন্তু ডিএম-এর চেয়ে কম নয়। এসডিএম-কে আবার সহকারী ম্যাজিস্ট্রেটও বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন-মিথ্যা বলেই বিয়ে করেছিলেন! জামাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনলেন বরেলির এসডিএমের বাবা
advertisement
এসডিএম পদ অর্জন করার উপায়:
এসডিএম হওয়ার জন্য প্রার্থীকে রাজ্যস্তরের সিভিল সার্ভিস অর্থাৎ পিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনই পরিচালনা করে। যেমন – উত্তর প্রদেশ রাজ্যে উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিহার রাজ্যের জন্য বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন, রাজস্থান রাজ্যের জন্য রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইত্যাদি।
এসডিএম পদের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:
এই পদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হল যে কোনও বিষয়ে স্নাতক। এর পর রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন দ্বারা আয়োজিত পিসিএস পরীক্ষায় বসতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মূলত তিনটে ধাপ রয়েছে। যথা – প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, মেন পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ।
এসডিএম পদের দায়িত্ব:
এক জন এসডিএম-এর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে – যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, রাজস্ব সংক্রান্ত কাজ, নির্বাচনভিত্তিক কাজ, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান কিংবা নবীকরণ, অস্ত্র লাইসেন্স প্রদান কিংবা নবীকরণ প্রভৃতি। এছাড়াও তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
এসডিএম পদে নিযুক্ত প্রার্থীদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা:
এই পদে নিযুক্ত প্রার্থীদের বেতনের হিসেব হল- বেতনের স্কেল ৯৩০০ টাকা – ৩৪৮০০ টাকা, গ্রেড পে- ৫৪০০ টাকা, বেসিক স্যালারি – ৫৬১০০ টাকা। এর পাশাপাশি এসডিএম পদে নিযুক্ত প্রার্থীর বেতনের সঙ্গে নানা ধরনের ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধাও যুক্ত থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল সরকারি বাসস্থান, নিরাপত্তা প্রহরী, মালি ও বাবুর্চির মতো বাড়ির কাজে সহায়তা করার কর্মচারী, একটি সরকারি যান (সাইরেন-সহ), একটি টেলিফোন সংযোগ, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ইত্যাদি। সরকারি কাজের জন্য সফরের সময় উচ্চশ্রেণীর সরকারি কোনও জায়গায় থাকার সুবিধাও পান। এছাড়া অবসর গ্রহণের পর পেনশন তো আছেই।
