কিন্তু কিছু দিন আগে টাটা গ্রুপ (Tata Group) কিনে নেয় এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) এয়ারলাইনস কোম্পানি। এর ফলে ভারতের বিমান শিল্পের বাজারের চেহারা ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এর ফলে দেশের বিমানবন্দরগুলোর আয় বাড়তে শুরু করবে।
টাটা গ্রুপ আগে থেকেই অপারেট করে ভিস্তারা (Vistara) এবং এয়ার এশিয়া (AirAsia) এয়ারলাইনস কোম্পানি। এখন তারা হাতে নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এবং তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস (Air India Express)। এর ফলে টাটা গ্রুপ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইনস কোম্পানি রুপে প্রতিষ্ঠিত হল।
advertisement
এদের মার্কেট শেয়ার ইন্ডিগো (IndiGo) এয়ারলাইনস কোম্পানির পরেই। ইন্ডিগোর দখলে ভারতের ডোমেস্টিক বাজারের ৫৭ শতাংশ। জিএমআর বিমানবন্দরের পূর্বতন চিফ একজিকিউটিভ অফিসার পিএস নায়ার (PS Nair) জানিয়েছেন টাটা গ্রুপের এই অধিগ্রহণের ফলে পুরো ভারতের এয়ারলাইনস সেক্টর এবং বিমানবন্দরগুলোর সুবিধা হবে। এর ফলে বিমানবন্দরগুলোর আয় বাড়তে শুরু করবে।
দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Delhi International Airport) সিইও বিদেহ কুমার জয়পুরিয়ার (Videh Kumar Jaipuriar) জানিয়েছেন টাটা গ্রুপের এই অধিগ্রহণের ফলে ফুল সার্ভিস কেরিয়ার মার্কেট শেয়ারের উন্নতি হবে যা বিমানবন্দরের রেভেনিউ বাড়াতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন- নির্বাচনের পর রাজ্যের তকমা ফিরে পাবে জম্মু কাশ্মীর, শ্রীনগরে ঘোষণা অমিত শাহের
টাটা গ্রুপ এয়ার ইন্ডিয়া কেনার ফলে ভারতে ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়বে। এর ফলে প্যাসেঞ্জারের সংখ্যাও বাড়বে, যা আয় বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও টাটা গ্রুপের হাতে এখন এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত এরোপ্লেন। এগুলো যে যে বিমানবন্দরে ওঠানামা করবে সেগুলোরও আয় বাড়তে শুরু করবে।
এভিয়েশন অ্যাডভাইজারি ফার্মের ম্যানেজিং পার্টনার সত্যেন্দ্র পান্ডে জানিয়েছেন টাটা গ্রুপের এই অধিগ্রহণের ফলে ভবিষ্যতে এর ভালো ফল পাওয়া যাবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক অপারেশন এবং কার্গোর অপারেশন আরও বাড়বে, যা রেভেনিউ বাড়াতে সাহায্য করবে।
টাটা গ্রুপের এই অধিগ্রহণ ভারতের ধুঁকতে থাকা এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য নিঃসন্দেহে এক দারুণ খবর। কারণ এই শিল্পের সঙ্গে সমাজের একটা বড় অংশ জড়িত। করোনা মহামারীর ফলে এদের অনেকেরই চাকরি গিয়েছে, অনেকের কাজ নেই। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে এই অধিগ্রহণ এই শিল্পের চেহারা আবার বদলাতে পারে। কারণ এর ফলে পাইলট, বিমানসেবিকা, বিমানবন্দরের কর্মী, টেকনিশিয়ান, গ্রাউন্ড স্টাফ ইত্যাদি সকলেরই সুবিধা হবে। কর্মসংস্থানের সঙ্গে সঙ্গে যা বিমানবন্দরগুলোর উন্নতি ঘটাতেও সাহায্য করবে।