২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলার মূল অভিযুক্ত গ্যাংস্টার সুকেশ চন্দ্রশেখর। ইতিমধ্যেই তিনি গরাদের পিছনে গিয়েছেন। আর তাঁকে জেরা করেই উঠে এসেছে তাঁর বিশেষ বান্ধবী জ্যাকলিনের নাম। এ-দিকে টিভি উপস্থাপক পিঙ্কি ইরানির বিরুদ্ধেও একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আসলে তিনিই তিহার জেলের ভিতরে অভিযুক্ত সুকেশের সঙ্গে বেশ কয়েক জন অভিনেত্রীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন- অনন্ত-রাধিকার বাগদানের প্রস্তুতি পর্ব প্রায় সারা, আম্বানি পরিবারে যেন আজ খুশির জোয়ার
গত ২ জানুয়ারি আদালতে জ্যাকলিন জানিয়েছিলেন, সুকেশের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের কথা। অভিনেত্রীর দাবি, পিঙ্কি ইরানির মাধ্যমেই যোগাযোগ হয়েছিল তাঁদের। সুকেশ নিজেকে সান টিভির মালিক এবং তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জে. জয়ললিতার পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছিলেন। জ্যাকলিনের আরও দাবি, সুকেশ তাঁকে দিনে দুই থেকে তিন বার ফোন করতেন। সব সময় ডিজাইনার পোশাক পরতেন এবং এক বার যে পোশাক পরতেন, তা আর দ্বিতীয় বার পরতেন না। এমনকী ভিডিও কলের সময় সুকেশ তাঁর ঘরের নির্দিষ্ট একটি কোণ থেকে কথা বলতেন। সেখানে শুধুই একটি পর্দা এবং সোফা দেখা যেত। সেই সময় সুকেশ দাবি করেন যে, ঘরের এই অংশের ওয়াইফাই ভাল কাজ করে। এর পর সুকেশের অপরাধমূলক কাজের কথা প্রকাশ্যে আসতেই পিঙ্কি জ্যাকলিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বোঝান যে, এটা ভুল বোঝাবুঝি এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে হচ্ছে। জ্যাকলিন জানান যে, যাতে সুকেশকে তিনি ভুল না-বোঝেন, তার জন্য ক্রমাগত মগজ ধোলাই করে গিয়েছেন পিঙ্কি। নায়িকার দাবি, ২০২১ সালে তাঁর সঙ্গে দুই বার দেখা হয়েছিল সুকেশের। তবে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করাতে বললে এড়িয়ে যেতেন অভিযুক্ত। আদালতের জবানবন্দিতে অভিনেত্রী জানান, “সুকেশ আমার অনুভূতি নিয়ে খেলা করেছে, আমার জীবনকে নরক বানিয়ে গিয়েছে। আর আমার কেরিয়ার এবং পেশাগত জীবন ধ্বংস করেছে।”
আবার গত ১৩ জানুয়ারি মরক্কো-সুন্দরী নোরাও আদলতকে জানিয়েছেন যে, বিএমডব্লিউ গাড়ি এবং অন্যান্য দামি উপহার দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন সুকেশ। নোরার দাবি, চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানের পর ধন্যবাদ জানাতে সুকেশ তাঁকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও নোরা তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বলে দাবি তাঁর। কারণ এর আগেই সুকেশ তাঁকে একটি আইফোন এবং উপহারের বাক্স দিয়েছিলেন। সেই বাক্সে ছিল একটি গুচির ব্যাগ। এমনকী, নোরার এও দাবি, তাঁকে বান্ধবী বানানোর জন্য রীতিমতো উঠে-পড়ে লেগেছিলেন সুকেশ। বার বার এই কথা বলতেন এবং অভিনেত্রীর বিলাসবহুল জীবনযাপনের খরচও মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিতেন তিনি।