বর্ধমান থানার হটুদেওয়ান পীরতলা ক্যানেল পার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত মহিলার নাম সুকরানা বিবি( ৫৮)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মা সুকরানা বিবির বেড়াতে যাওয়ার নেশা ছিল। বারে বারেই তিনি বেড়িয়ে পড়তেন। বিষয়টি পছন্দ করতো না ছোট ছেলে সেখ নয়ন আলি। বার বার সে মাকে নিষেধ করতো। এসব নিয়ে মা ছেলের বিবাদ চরমে পৌঁছলে নয়ন মুগুর দিয়ে মা সুকরানার মাথায় আঘাত করে। এরপর শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন-আজ থেকে এই জেলায় দুয়ারে রেশন!
কেউ না থাকার সুযোগে রাতারাতি মাটির ঘরের মেঝে খুঁড়ে ফেলে নয়ন। সেখানে মা সুকরানার মৃতদেহ পুঁতে দেয় নয়ন। রাতারাতি মাটি দিয়ে মেঝে ভরাট করে দেয় সে। প্রতিদিন সে সেই মেঝেতে ধূপ দিত বলে জানিয়েছেন পরিবারের অন্যান্যরা।
মা সুকরানা বিবি তার ছোট ছেলে সেখ নয়ন আলি সঙ্গেই থাকতেন। হঠাৎই গত ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সুকরানা বিবি। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সুকরানার বড় ছেলে সেখ কিসমত আলি বর্ধমান থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। খুনের বিষয়টি ফাঁস করে নয়নের স্ত্রী। সুকরানা খুন হওয়ার ছ'মাস পর নয়নের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে অশান্তির কারণে সে এখন ভাতার থানার এরুয়ারে বাপের বাড়িতে থাকে। অভিযোগ, তাকেও মাঝেমধ্যেই মারধর করতো নয়ন। মাকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে রেখেছি। তোকেও খুন করে দেহ গায়েব করে দেব- এমন শাসানি শুনেই সে প্রাণভয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়।
নয়নের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মনোমালিন্য মেটাতে নয়নের দাদা কিসমত আলি হস্তক্ষেপ করেন। সোমবার তিনি এড়ুয়ারে গিয়ে নয়নের স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। আর তখনই নয়নের স্ত্রী তাঁকে জানান, নয়ন তার মা সুকরানা বিবিকে মেরে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখেছে। রাতে বাড়ি ফিরে আসেন কিসমত আলি। এরপর মঙ্গলবার সকালে তিনি ভাই নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিসমত আলি প্রতিবেশীদেরও ডাকেন। সকলের জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে নয়ন। স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করে, সে মাকে মেরে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিয়েছে।
এরপর খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায়। পুলিশ সেখ নয়ন আলিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। বাড়ির মেঝে খোঁড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
-শরদিন্দু ঘোষ