স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বোলপুরের রাজকুমার আগারওয়াল এর সঙ্গে লীলা আগারওয়ালের বিয়ে হয় বছর কুড়ি আগে। তাঁরা বর্ধমান শহরে থাকতো। বর্ধমান শহরে সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে লীলা আগারওয়াল পরিচারিকার কাজ করতেন। এরপর সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে লীলা আগরওয়ালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।সেই কথা সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী জানতে পেরে সে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। এক বছর আগে সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় ভাতারের মাহাতা গ্রামের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। লীলা আগরওয়ালের এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিল।
advertisement
গত মঙ্গলবার লীলা আগরওয়াল এর মৃতদেহ উদ্ধার করে তারই ভাড়া বাড়ি থেকে ভাতার থানার পুলিশ।কিভাবে তাঁর স্ত্রী খুন হয়েছে তা জানতে প্রথম পক্ষের স্বামী রাজকুমার আগরওয়াল লিখিত অভিযোগ জানায় ভাতার থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাতার থানায় নিয়ে আসা হয় লীলা আগারওয়ালের দ্বিতীয় স্বামী সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়কে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই খুনের কিনারা করল ভাতার থানার পুলিশ।দেখা যায় লীলা আগারওয়াল এর সঙ্গে তার জামাইয়ের মোবাইল ফোনে বহুক্ষণ ধরে কথা হয়েছে।একদিন আগে রাত্রে বোলপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁর জামাই প্রসেনজিৎ দলুইকে। অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রসেনজিৎ দোলুই স্বীকার করে সে তার শাশুড়িকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। কারণ হিসাবে সে জানায় তার শাশুড়ি প্রথম পক্ষের স্বামী ত্যাগ করে পুনরায় বিয়ে করেছে এবং সে তার সংসারে অশান্তি বাধাচ্ছিল। সেই কারণেই তাঁকে খুন করেছে ।পুলিশ এদিন বর্ধমান আদালতে পাঠায়। ধৃতকে আরও জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানাা গিয়েছে। এই ঘটনায় ভাতারের মাহাতা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Saradindu Ghosh