জেলে আফতাবের সেলে আরও দুই বন্দি রয়েছে। মূলত, তাদের সঙ্গেই সারাদিন দাবা খেলে আফতাব। ওই দুই বন্দি চুরির অপরাধে দোষী। এরই মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি বায়না করেছে আফতাব। বেশ কিছু সাহিত্য এবং উপন্যাসের বই চেয়েছে সে। সেই বইগুলি আফতাবকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তিহার জেল কর্তৃপক্ষও।
গত বৃহস্পতিবার নারকো টেস্ট হয় আফতাবের। সূত্রের খবর, সেই টেস্ট সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। শ্রদ্ধাকে হত্যা করা, দেহ টুকরো টুকরো করা এবং শেষে কীভাবে দেহাংশগুলি লোপাট করেছিল, সবটাই খুলে বলেছে সে। ওই টেস্টের পরে আফতাবের শারীরিক অবস্থা ভালোই রয়েছে। কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
তবে আফতাবের সেলের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে বলে খবর। পলিগ্রাফ টেস্টে নিয়েও যাওয়ার সময়ে হামলা হয় আফতাবকে নিয়ে যাওয়া ভ্যানের উপর। যদিও সেই হামলায় আফতাবের কোনও ক্ষতি হয়নি, কিন্তু তারপর থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে আফতাবের সেলের উপরে।
আরও পড়ুন, ‘ডিসেম্বরে ছোট্ট করে দরজা খুলব?’ কাঁথিতে হঠাৎ তীব্র জল্পনা উস্কে দিলেন অভিষেক
প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে নিজের লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে হত্যা করে আফতাব। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে সে। সেই টুকরো গুলি যাতে পচন না ধরে, তার জন্য ৩০০ লিটারের ফ্রিজও জোগাড় করে আনে আফতাব।
আরও পড়ুন, হুক্কা বারে সর্বনাশ! নিষিদ্ধ হওয়ার পরেই পুলিশি অভিযান, উঠে এল চমকে দেওয়া তথ্য
১৮ দিন ধরে সেই দেহাংশগুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিত সে। কিন্তু শ্রদ্ধার বাবা মেয়ের নিখোঁজের মামলা করায় বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্রদ্ধাকে হত্যার প্রায় ৬ মাস পরে গ্রেফতার হয় আফতাব।