পুলিশের দাবি, ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের আরও দাবি, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছিলেন ওই ছাত্র। মৃত ছাত্রর বাবার অবশ্য দাবি, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেনা। বাবার সঙ্গে ছাত্রের ফোনের মেসেজে অন্য কারও জড়িত থাকার সন্দেহও দেখা দিচ্ছে। তাঁর ফোন থেকে ছাত্রের বাবার কাছে পাঠানো মেসেজটি ছিল, “রাঠোর সাহেব বহুত বাহাদুর থা আপকা বেটা।” ছেলে ও বাবার মধ্যেকার শেষ কথোপকথনের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- বিক্ষোভস্থলে আটক রাহুল গান্ধি! "ভারত পুলিশ রাষ্ট্র, মোদি তার রাজা," কটাক্ষ নেতার
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রকে রেলস্টেশনে একাই পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কোনও চরমপন্থী দলের সঙ্গে যোগাযোগ খুঁজে পায়নি পুলিশ। নিউজ ১৮কে রাইসেনের এএসপি অমৃত মীনা বলেন, “সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে আমরা দেখতে পেয়েছি যে ছাত্রটি একাই ছিল। তিনি একা স্কুটি করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এবং রেললাইনেও তাঁর সঙ্গে অন্য কাউকে দেখা যায়নি।”
পুলিশ ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকটি নিয়েও তদন্ত করছে। পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রটি বেশ কয়েকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এজেন্সিতে বিনিয়োগ করেছিল এবং আর্থিক সমস্যার কারণেই সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিল কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী সিরিয়াল কিলার ভারতেরই! একাধিক খুন করেছে ৮ বছরের শিশু
সিওনি-মালওয়ার বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী ওই পড়ুয়া তাঁর বোনের সঙ্গে দেখা করতে বিকেল ৩:৪৫ নাগাদ তাঁর ভাড়াবাড়ি থেকে রওনা দেন, তবে তিনি আর ফিরে আসেননি। সন্ধ্যায় তাঁর বাবা এবং কিছু বন্ধু হুমকিমূলক মেসেজ পেয়েছিলেন। এর পরেই সন্ধান শুরু হয়, থানাতে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ‘গুজতাখ-ই-নবী কি এক হি সাজা, সর তন সে জুদা’ একটি ধর্মীয়-উগ্রবাদী স্লোগান। প্রকাশ্য দিবালোকে দর্জির শিরশ্ছেদ করে এবং অপরাধের ভিডিও শ্যুট করার সময় এই একই স্লোগান উচ্চারণ করেছিল উদয়পুরের খুনিরা।