২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদের শামশাবাদে এক তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুন করে ওই চার অভিযুক্ত। এর পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সাদনগরে পুড়িয়ে ফেলা হয় ওই তরুণীর দেহ। এ দিন গভীর রাতে ওই ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, সে সময় তাঁদের অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তেরা। আত্মরক্ষার্থে তাদের গুলি করে মারা হয়। ঘটনাস্থলে নির্যাতিতার ফোন খুঁজতে নিয়ে যাওয়া হয় চার অভিযুক্তকে। পুলিশের দাবি, ওই সময়ে ৪৪নং জাতীয় সড়কের কাছে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এমনকি পুলিশকে লক্ষ করে গুলিও ছোঁড়ে তারা। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
advertisement
শুক্রবার ভোরে এনকাউন্টারের সময় ঠিক কী ঘটেছিল ? সাংবাদিক বৈঠকে বিস্তারিত জানালেন সাইবারাবাদ পুলিশের কমিশনার ভি সি সজ্জানার ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন করার ঘটনার পর ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ রিমান্ডের চতুর্থ দিনে তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য ৷ সেই সময় পুলিশের বন্ধুক ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ ও কেশবুলু ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করতে শুরু করে ৷ এই পুরো ঘটনার প্রমাণ রয়েছে পুলিশের কাছে বলে দাবি করেছেন কমিশনার ৷
‘পুলিশ হেফাজত থেকে পালাতে যায় ৪ জন ৷ পালানোর সময় পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু’, জানালেন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার ৷ অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ ৪৪নং জাতীয় সড়কের কাছে পালানোর চেষ্টা করে ৷ পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা ৷ পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারিং হয় ৷ ‘আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে পুলিশ ৷ পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারিং হয় ৷ যেখানে তরুণীর দেহ মেলে,তার কাছেই এনকাউন্টার হয় ৷ মৃত অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন কুমার, চিন্তাকুন্তা চেনেকেশ্বাভুলু ৷ গণধর্ষণ-খুনের ১০ দিনের মাথায় এনকাউন্টার ৷
চারজন অভিযুক্তের মৃত্যু গুলি লাগার কারণে হয়েছে ৷ দুই তরফের সংঘর্ষের মধ্যে একজন এসআই ও কনস্টেবল আহত হয়েছেন ৷ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷
অভিযুক্তদের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে ৷ কর্ণাটক ও তেলঙ্গানায় একাধিক মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ৷ সেই মামলারও তদন্ত চলছে ৷ শুক্রবার সরাল ৫:৪৫ থেকে ৬:১৫ নাগাদের মধ্যে এনকাউন্টার হয় ৷
চার অভিযুক্তের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ এদিন অভিযুক্তদের সঙ্গে ১৫ জন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ৷