পান্ডুয়ায় শ্যুটআউটের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীরা বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করেছিল। তারা দলে চারজন ছিল। সবার সঙ্গে ছিল পিঠব্যাগ। হিন্দি, ভোজপুরী মিশিয়ে কথা বলছিল তারা। আচরণও ছিল সন্দেহজনক। তারা স্করপিও গাড়ির খোঁজ করছিল। পাশের স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি ভাড়া করে চার দুষ্কৃতী।
আরও পড়ুন: গাড়ি থেকে নামিয়ে জি টি রোডের উপরে গুলি, সাতসকালে পান্ডুয়ায় শ্যুটআউট! মৃত ১
advertisement
পান্ডুয়া শ্যুটআউটের ঘটনায় মৃতের নাম উদয়ন বিশ্বাস ওরফে বিকাশ বিশ্বাস (৫২)। বাড়ি বর্ধমানের নাড়ি খাঁ পুকুর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে এ দিন সকাল ৮ নাগাদ বের হন উদয়ন বিশ্বাস। পেশায় গাড়ি চালক উদয়ন বর্ধমান স্টেশনে ভাড়ার গাড়ি চালান।সেখান থেকেই ভাড়া নিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তাজ্জব বর্ধমান রেল স্টেশনের গাড়ি চালকরা।
বর্ধমান রেল স্টেশনের গাড়ি চালক শিবনাথ মিশ্র বলেন, 'ওরা দলে চারজন ছিল। সম্ভবত ট্রেনেই এসেছিল। সকলের সঙ্গে পিঠব্যাগ ছিল। হিন্দি ও ভোজপুরী ভাষায় কথা বলছিল। দেখতে গুন্ডাদের মতো। চাল চলনও সুবিধা জনক মনে হচ্ছিল না। ব্যান্ডেল যাওয়ার জন্য স্করপিও গাড়ির খোঁজ করছিল। এই স্ট্যান্ডে একটি স্করপিও ছিল। চালক ঘুমোচ্ছিল। এদের দেখে সন্দেহজনক মনে হওয়ার তাকে আর ঘুম থেকে তুলিনি। এরপর তারা পাশের স্ট্যান্ড থেকে সাদা স্করপিও ভাড়া করে। এরপর শুনতে পাই তারাই পান্ডুয়ায় চালককে গুলি করে খুন করেছে।'
আরও পড়ুন: ছ' বছরের সম্পর্ক, ছিল সন্তানও! দিল্লির তরুণীকে পুড়িয়ে মারল লিভ ইন পার্টনার
নিহত চালকের স্ত্রী তপস্যা বিশ্বাস বলেন, 'আমরা ভাড়া বাড়িতে থাকি। দু' বছর আগে ওই সাদা স্বরপিও গাড়িটি কেনা হয়েছিল। যে মালিকের গাড়ি চালাতো, তার কাছ থেকেই লকডাউনের সময় এই গাড়িটি কেনা হয়েছিল। ওই গাড়ি ভাড়ার আয়েই সংসার চলত। কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না আমার স্বামীর। কেন এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।'
মৃত উদয়ন বিশ্বাসের দুই ছেলে। বড় ছেলে খবর পেয়েই পান্ডুয়া রওনা দিয়েছেন। ছোট ছেলে রকি বিশ্বাস বলেন, 'প্রতিদিনের মতো এ দিনও বাবা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। এমনটা যে ঘটতে পারে ভাবতে পারিনি।'
