ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে, মৃতদেহ আটকে রেখে মৃত্যুর সঠিক কারণ ও দোষীদের গ্ৰেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান সাবেকুনের বাপের বাড়ির সদস্যরা। গতকাল রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে স্নান না করার দিন! আগামী সপ্তাহে আবহাওয়া বিরাট পরিবর্তন, জানুন আপডেট
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, দেগঙ্গার সোহাই এলাকার তরুণী সাবেকুন নাহারের সঙ্গে ১৫ বছর আগে দেগঙ্গার কলাপোল এলাকার সবজি ব্যবসায়ী জুলফিকার আলির সামাজিক মতে বিয়ে হয়েছিল। মৃতার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে সাবেকুনের উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। দাবি মতো বিভিন্ন সময় ফ্রিজ, নগদ টাকা দেওয়ার পরও অত্যাচার থামেনি। অভিযোগ অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যেত সাবেকুনের দুই ননদ এলে।
আরও পড়ুন: পাঁচতারা হোটেলে বিল ২৩৪৬৪১৩ টাকা! এক টাকাও না দিয়ে পালিয়ে যায় গুণধর, পরের ঘটনা ভাইরাল
শনিবারও ঘটনার সময় বাড়িতে দুই ননদ উপস্থিত ছিল বলে দাবি মৃতার পরিবারের। সাবেকুনের বাপের বাড়ির সদস্যদের আরও দাবি, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তারা খবর পান সাবেকুন আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সাবেকুনের বাবা আনিসুর গিয়ে দেখেন মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে সাবেকুন। পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার সন্তান। পলাতক শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃত সাবেকুনের পরিবারের অভিযোগে তাদের মেয়েকে মারধর করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে। রবিবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। দোষীদের গ্ৰেফতার করে কঠোর শাস্তি চাইছেন মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যরা।
জিয়াউল আলম
