অন্য যুবতীকে বিয়ে করা নিয়ে নিকি ও সাহিলের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। এরপরই মোবাইলে চার্জ দেওয়ার তার গলায় পেঁচিয়ে নিকিকে খুন করে সাহিল। তাঁর দেহ পাশে বসিয়েই ৪০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ওই ধাবায় যায় এবং সেখানের একটি ফ্রিজে তাঁর দেহ ভরে রেখে পালিয়ে আসে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ধাবার ফ্রিজ থেকে নিকির দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই গোটা বিষয়টি সামনে আসে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দিনই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পছন্দ করা তরুণীকে বিয়ে করে সাহিল
বাগদানের পর সাহিল দিল্লির উত্তম নগরের ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিল, যেখানে সে নিকির সঙ্গে লিভ-ইনে থাকত। সাহিলের বাড়ি থেকে ডিসেম্বর মাসে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা হলেও, সম্প্রতি নিকি সেই বিষয়ে জানতে পারেন। বিয়ে রুখতে সে একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল। সাহিলের বিয়ের দিন, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি তাদের গোয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দু'দিন আগে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে যাবে তারা, এমনটাই ঠিক হয়।
আরও পড়ুন: তিরিশের কোঠায় বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি, হৃদয়কে বাঁচাতে মেনে চলুন চিকিৎসকের এই পরামর্শ
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, নিকি ও সাহিল নিজামউদ্দিন রেল স্টেশনে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের গোয়ার ট্রেনে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু সাহিল টিকিট পায়নি। সেখান থেকে তারা যায় আনন্দ বিহারের আইএসবিটি বাস স্ট্যান্ডে। গোয়ার পর হিমাচলের বাস ধরতে সেখানে যায় তারা। কিন্তু সেখানেও কোনও বাস পায়নি তারা। ফেরার পথে তুমুল বচসা শুরু হয়, তখনই তার পেচিয়ে নিকিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাহিল। বিয়ে না করে নিকির সঙ্গেই বেড়াতে যাবে বলে নিকিকে বুঝিয়ে দিয়েছিল সাহিল। কিন্তু তা শুধুই পরিকল্পনার অংশ কি না তা জানতে চায় পুলিশ।