জানা গিয়েছে, সাবির শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়। অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হওয়ার পরই তরুণীর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নেয় ওই যুবক। হবু স্ত্রীর মৃত্য়ু হলে লোন শোধ করতে হবে না, এই ধারণা থেকেই তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে দোতলা থেকে ছুড়ে ফেললেন শিক্ষিকা! দিল্লির স্কুলে নৃশংসতা
advertisement
তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে ট্রেনে করে তরুণীকে কলকাতায় নিয়ে আসে ওই যুবক এবং তার ভাই। নির্যাতিতার অভিযোগ, ট্রেনে ওঠার পরেই খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে তাঁকে বেহুঁশ করে দেওয়া হয়। এর পর ট্রেন শিয়ালদহে পৌঁছলে আবারও তাঁকে কিছু খাইয়ে অচেতন করে দেওয়া হয়।
তরুণীর অভিযোগ, অচেতন অবস্থাতেই কোনও একটি গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে হবু স্বামী এবং তার ভাই মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। গোটা শরীরে সিগারেটের ছ্য়াঁকাও দিয়ে দেওয়া হয়।
বেহুঁশ ও বিবস্ত্র অবস্থায় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার নতুনহাটে রাস্তার পাশে তরুণীকে ফেলে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনার পর থেকে পলাতক দুই অভিযুক্ত। ঘটবার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।