দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই মৃত ওই ব্যক্তির স্ত্রী জয়ন্তী হালদার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেহ হয় মৃত ওই ব্যক্তির স্ত্রীর উপরেই। এরপরেই মৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় মৃতের স্ত্রী ভেঙে পড়েন। এরপরই মৃতের স্ত্রী স্বীকার করে নেয়, প্রতিদিন তার স্বামী বাড়িতে এসে তার উপর অত্যাচার চালাত। দীর্ঘদিন ধরে এই অত্যাচার চলতে থাকায় অবশেষে সহ্য করতে না পেরে সে তার স্বামীকে খুন করে।
advertisement
আরও পড়ুন: দেহ লোপাট করতে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে করাত দিয়ে কাটে স্ত্রী ও ছেলে! বারুইপুরে হাড়হিম কাণ্ড
পুলিশি জেরাতে অভিযুক্ত মৃতের স্ত্রী জয়ন্তী হালদার জানান, তার স্বামী প্রতিদিন ঘুমের ওষুধ খেতেন। ঘটনার দিন অধিক পরিমাণে ঘুমের ওষুধ তার স্বামীকে তিনি খাইয়ে দেন। অধিক পরিমাণে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলেই তার স্বামী প্রথমে জ্ঞান হারান। এবং বেহুশ হয়ে গেলে পরে স্বামীর মাথায় রড দিয়ে বাড়ি মারে এবং স্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়লে পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে স্বামীর দেহ জলের মধ্যে ফেলে দেন তার স্ত্রী। এরপর সে নিজেই চিৎকার চেঁচামেচি করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
আরও পড়ুন: এখনও উদ্ধার ১৩টি হাড়, মেলেনি খুলি! বাথরুমে বসে শ্রদ্ধাকে টুকরো করে মদ্যপ আফতাব
এরপরেই এসে জিজ্ঞাসাবাদ এর পর মৃত ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে আটক করে। পুলিশের জেরায় মৃতের স্ত্রী স্বীকার করে নেন খুনের কথা। এবং তিনি এও বলেন এই খুন তিনি একাই করেছেন। তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত নেই। ঘটনায় শুক্রবার রাত্রে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত স্ত্রীকে। এবং মৃতদেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আজ রানাঘাট আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মৈনাক দেবনাথ





