নিগৃহীতার বাবা সাত্তার শেখ জানান, 'মেয়ে একা থাকায় গতকাল রাতে তাঁর মেজো ভাসুর জিল্লার হোসেন শ্লীলতাহানি করতে যান। এবং তাতে রাজি না হওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আঘাত করতে থাকে গলায়। আর সেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত গিয়ে লাগে মাথায়। এসব অত্যাচার মেনে নিতে পারছি না, তাই পুলিশের দারস্থ হয়েছি আমরা। পুলিশ যেটা করবে সেটাই মেনে নেব।'
advertisement
আরও পড়ুন: ২৫ ফুটের মূর্তিতে ১১৭ বছরের বিশ্বাস, রোগ থেকে রেহাই পেতে আজও পুজো হয় হাওড়ায়
আক্রান্তের দাবি, 'আমাকে একা ঘরে পেয়ে রাতে মেজ ভাসুর আসে। এবং আমার সঙ্গে জোরজবস্তি নোংরা কাজ করতে চায়। আমি সেই কাজে রাজি না হওয়ায় আমার উপর ক্ষুব্ধ। আমি সবাইকে বলে দেব কথা বলতেই, লাঠি দিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মারতে যায় আর সেই কোপ লাগে মাথায়।'
আরও পড়ুন: কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, কোথাও আবার বাড়বে শুষ্কতা! আবহাওয়ার আপডেট জানুন
এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পাশের গ্রামেই নিগৃহীতার বাপের বাড়ি। ফোন করলে তারা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে। কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করে ডোমকল মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। এই ঘটনার জেরে জিল্লার হোসেনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জলঙ্গি থানার পুলিশ।
কৌশিক অধিকারী