পুলিশ সূত্রে খবর, তামিলনাড়ুর ভাদিভাজহাগন নামের এক যুবক ২২ বছরের তুলাসিকে বিয়ে করেছিলেন ৪ বছর আগে। তামিলনাড়ুর মোত্তুর গ্রামে থাকতেন তাঁরা। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু নানা বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। ফলে, ভাদিভাজহাগনকে জোর করে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি রেখে আসতে নির্দেশ দেয় তাঁর পরিবার। এরই মধ্যে তুলাসির মোবাইলে সন্তানদের বেধড়ক মারের ভিডিও দেখতে পায় তাঁর পরিবারের লোকেরা। দ্রুত সন্তানদের বাবা ভাদিভাজহাগনকে জানান তাঁরা।
advertisement
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ১৮ মাসের সন্তানকে উন্মাদের মতো ঘুষি মারছে মা। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে শিশুটির। এবং এটি প্রথমবার নয়। মাঝে মাঝেই সন্তানের উপর এভাবেই শারীরিক নির্যাতন ও মারধর করে মা এবং সেগুলিকে মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সন্তানের পিঠে ও পায়ে মারের চোটে লাল দাগ এবং সেগুলির মধ্যেই ফের মারছে মহিলা। গোটা শরীরে শিশুটির আঘারে চিহ্ন তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোবটের গতিকেও হার মানাবেন এই 'ধোসাম্যান', আনন্দ মাহিন্দ্রার ভিডিও ভাইরাল! দেখুন
সন্তানদের এভাবে মারধরের কথা জানতে পেরেই অন্ধপ্রদেশে তুলাসী ও সন্তানদের কাছে চলে আসেন বাবা। তুলাসীর বাবা জানিয়েছেন, বাচ্চাকে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল মা। তবে পুলিশের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলার চরম শাস্তির দাবি করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্বামী স্ত্রীয়ের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন। সেই নিেয় তাঁদের মধ্যে অশান্তিও লেগে থাকত। হয়তো সেই রাগ থেকে অথবা প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে না পারার রাগেই সন্তানদের উপর অত্যাচার করত মহিলা। পুলিশ রবিবার তুলাসীকে গ্রেফতার করেছে।