প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মহিলার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা গ্রামের সকলেই জানতে পেরেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই মহিলা স্বামীকে ছেড়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় ব্যক্তির সঙ্গে থাকাকালীনই অন্তঋসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। তিন মাস আগে সেই সন্তানের জন্ম হয়। পুলিশের দাবি, সেই কন্যাসন্তানকেই গলা টিপে খুন করে মহিলা। এর পর দেহ লোপাটের জন্য নিজের ১৩ বছরের নাবালক ছেলের সাহায্য চায়। বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটি নদীর কাছে ফেলে দেয় সেই দেহ।
advertisement
নাবালককে জেরা করেই মোটামুটি ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ ছেলেটিকে নিয়েই ঘটনাস্থলে যায় এবং পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। একটি ব্যাগের ভিতর আগুনে পুড়িয়ে সেটিকে পাথর চাপা দিয়েছিল মহিলা। ঘটনার কথা জানতে পেরে শিউড়ে উঠছেন গ্রামবাসীরা। ছেলেটিকে জুভেনাইল লক-আপে ও মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন মেয়েকে খুন করল মা, সেই কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানতে পারেনি পুলিশ। মহিলাকে জেরা করা হচ্ছে।
গত ১৮ অক্টোবর কলকাতার একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন জনৈক লাভলি সিং নামে এক মহিলা। এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল সে। কিন্তু কেবিনে গিয়ে নার্স দেখেন, সদ্যোজাত আর নড়াচড়া করছে না। শ্বাসপ্রশ্বাসও নেই। পাশেই শুয়ে মা। তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নীরব থাকেন। এর পর পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, পরে মা নিজেই স্বীকার করে নেন তাঁর অপরাধের কথা। জানান, তিনিই নিজের একদিনের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন। কারণ, এটা তাঁর প্রথম সন্তান। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে হোক তাঁর। খোদ শহর কলকাতার বুকে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত সবাই। ফের পুনেতে ঘটল একই রকম ঘটনা।
আরও পড়ুন: এই ভাবে হত্যা, এত নৃশংস! গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের বিবরণে শিউড়ে উঠছেন তদন্তকারীরাই