খাবার দেওয়ার সময় আসতেই হাতে থাকা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে দেওয়া হয় প্রায় ৫০০ গ্রাম ওজনের তিনটি পাকা পেঁপে। বিভিন্ন খাবার স্ক্যানারের মধ্যে দিলেও জেলের কোনও কর্মীর সন্দেহ হয়নি কাগজে মোড়া তিনটি পেঁপে নিয়ে। সর্বশেষ চেকিং-এর সময় পেঁপে গুলোর উপর সন্দেহ হয়। অনেকেই আনেন এই জাতীয় ফল, তবে ভিতরে কোনও আওয়াজ হয় না। একটুও শব্দ নেই, তবে কিছু একটা আছে বলে মনে হয়। পেঁপে বলে কথা তাই মনে হয় পেঁপের দানার জন্য মনে হচ্ছে। সব কিছুর মতই এবার পেঁপে স্ক্যানের দিতেই দেখা মিলল একটি প্যাকেটের।
advertisement
পেঁপের মধ্যে প্যাকেট? প্রথমে অবাক হলেও ভাল করে দেখা হয় পেঁপেগুলোকে। তারপরেই নজরে আসে ফলের মধ্যে হালকা একটি দাগ। ভাল করে দেখতেই খুলে দেওয়া হয় পেঁপেগুলো। দেখা মেলে ওই প্যাকেটগুলোর, যার মধ্যে রাখা গাঁজা। প্যাকেটগুলো আটকানো হয়েছে পেঁপের আঠা দিয়েই। তারপরেই খবর যায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষের কাছে, খবর যায় হেস্টিংস থানায়। সংশোধনাগারের অভিযোগের ভিত্তিতে সঈদা বেগমকে গ্রেফতার করে হেস্টিংস থানা। মাদক পাচারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলের মধ্যে অনেক ভাবেই মাদক পাচারের হদিস মিলেছে, পেঁপের মধ্যে মাদক তাও আবার মা-য়ের হাত দিয়েই ! এই ঘটনার পর থেকেই বন্দীদের জন্য দেওয়া বিভিন্ন খাবার ও সামগ্রীর উপর বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।
Susovan Bhattacharjee