সূত্রের খবর, গত ২১ জানুয়ারি মালদহ শহরের রথবাড়ি মোড় এলাকায় নাকা চেকিং-এর সময় শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় দু'হাজার মাদক ট্যাবলেট। বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই যুবকের ব্যবহৃত মোটরবাইক। ধৃত যুবক মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার তিনশতবিঘি এলাকার বাসিন্দা। মালদহ শহরের রথবাড়ি মোড়ে কালিয়াচক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই যুবককে পাকড়াও করে পুলিশ। মাত্র ১৯ বছরের যুবক শহিদুল কী করে মাদক ট্যাবলেট পাচারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই যুবককে হেফাজতে নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রেসিডেন্সিতে সরস্বতী পুজো করা নিয়ে মতানৈক্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্দরেই
এদিকে রবিবার মাদক কারবারের আরও এক এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৮২ গ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেট। সংখ্যায় যার পরিমাণ কয়েক হাজার। ইমে রহমান নামে ওই যুবক বৈষ্ণবনগর থানার গুরুতলা বাজেয়াপ্তি এলাকার বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বছর ২২ এর ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সোমবার মাদক কারবারি ওই যুবককে আদালতে তুলবে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মাদক কারবারের এজেন্ট দুই যুবকের বিরুদ্ধেই পৃথক মামলা রুজুু করা হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে মাদক ট্যাবলেট কোথা থেকে আনা হচ্ছে, কারা এর পেছনে অর্থ যোগাচ্ছে, মাদক ট্যাবলেট গুলি কোথায় পাঠানো হতো, এজেন্টাই বা কতটা কমিশন পেত ? সব তথ্যই জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, মাদক কারবারের রাশ ঠেকাতে খবরাখবর আদান-প্রদানে জোর দেওয়া হচ্ছে। স্পর্শকাতর বেশ কিছু এলাকাকে চিহ্নিত করে সেসব জায়গায় সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।