আদালতে ইডির আরও দাবি, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে কুন্তলের হাত ঘুরে পৌঁছে গেছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। আগামী দিনে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে কুন্তলকে। এখানেই শেষ নয়, কেন জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে, তা বলতে গিয়ে ইডির তরফে সওয়ালে সরাসরি বলা হয়েছে ১৩০ জন চাকরি প্রার্থীর কাছে থেকে মাথাপিছু আট লক্ষ করে টাকা নিয়েছেন কুন্তল ও তার সহযোগীরা। সেই টাকা কোথায় গেল? তার সন্ধান চালাচ্ছে ইডি। একইসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থার দাবি, চাকরি পাইয়ে দিতে আদালত থেকে নির্দেশ পাইয়ে দেওয়া হবে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২০০ চাকরি প্রার্থীর থেকে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সেই টাকার খোঁজ চলছে।
advertisement
এমনকী, হেফাজতে থাকাকালীন তদন্ত করে ইডি কর্তারা কুন্তলের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে ছ’কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন। এই টাকার উৎস কোথায়? কোথা থেকে এল, আবার কোথায় গেল জানতে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরার প্রয়োজন আছে বলে আদালতে সওয়াল ইডির। প্রসঙ্গত ইডি সূত্রে খবর,২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে হওয়া টেট পরীক্ষার প্রায় ৭৫০ জনের ওএমআর শিটের ফটোকপি উদ্ধার হয়েছে। তা কোথা থেকে পেয়েছে কুন্তল হদিশ পেতে চাইছে ইডি। তাই আগামীতে তাকে জেরা করার প্রয়োজন আছে। এছাড়াও একাধিক লগ্নির হদিশ পাওয়া গেছে, তা নিয়েও আরও তথ্য সংগ্রহ দরকার বলে আদালতে সওয়াল ইডির। অন্যদিকে কুন্তলের আইনজীবী জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। এমনকী গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের মামলাতে কোনও টাকা উদ্ধার নেই, তাহলে কেন আটকে রাখা হবে? আদালতে প্রশ্ন কুন্তলের আইনজীবী রাজা সেনগুপ্ত ও সেলিম রহমানের। এমনকী, এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের বয়ানের ভিত্তিতে কুন্তলকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন কুন্তলের আইনজীবীর। কুন্তল নিজেও আদালতে নিজের জামিনের জন্য আবেদন করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শেষে আগামী ১৪ দিনের জন্য কুন্তলকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত ।