জানা গিয়েছে, ৪২ বছরের নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ কাম্বলি৷ তিনি পুণের বাসিন্দা৷ গুয়াহাটির একটি বিলাসবহুল হোটেলের ঘর থেকে ওই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে৷
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সন্দীর কাম্বলি নামে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কলকাতার বাসিন্দা অঞ্জলি সাউ নামে ২৫ বছর বয়সি এক তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়৷ অঞ্জলি কলকাতা বিমানবন্দরে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করে৷
advertisement
সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর বিয়ের জন্য অঞ্জলিকে চাপ দিতে থাকেন সন্দীপ৷ এমন কি, অঞ্জলির সঙ্গে তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিও সন্দীপের কাছে ছিল৷
আরও পড়ুন: ৫০০ টাকা কেজি, মাংসেও দিতে হচ্ছে মেপে! কবে সস্তা হবে রসুন?
কিন্তু অঞ্জলির আগে থেকেই রাকেশ সাউ নামে একজন প্রেমিক ছিল৷ সন্দীপ নামে ওই ব্যবসায়ী যে তাকে বিয়ে করতে চাপ দিচ্ছেন, রাকেশকে সেকথা জানায় অঞ্জলি৷ এর পরেই দু জনের মিলে সন্দীপের কাছ থেকে ঘনিষ্ঠ ছবি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ছক কষে৷
সন্দীপের সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা করতে রাজি হয় অঞ্জলি৷ কিন্তু কলকাতায় এসে অঞ্জলিকে নিয়ে গুয়াহাটি চলে যায় সন্দীপ৷ সেখানকার একটি নামী হোটেলে নিজেদের জন্য একটি ঘরও বুক করে পুণের ওই ব্যবসায়ী৷ এই খবর পেয়ে অঞ্জলির প্রেমিক রাকেশও ওই একই হোটেলে অন্য একটি ঘরে গিয়ে ওঠে৷
এর পর অঞ্জলি ছবি ফেরত চাইতেই সন্দীপের সঙ্গে তার বচসা শুরু হয়৷ তখন সেখানে পৌঁছয় রাকেশও৷ এর পর রাকেশ এবং অঞ্জলির সঙ্গে সন্দীপের রীতিমতো হাতাহাতি হয়৷ যার ফলে গুরুতর আহত হন সন্দীপ৷ ওই অবস্থাতেই পুণের ওই ব্যবসায়ীকে হোটেলের ঘরে ফেলে রেখে সেখান থেকে বেরিয়ে যান অঞ্জলি এবং রাকেশ৷
হোটেল কর্মীরা ঘরের ভিতর থেকে সন্দীপের দেহ দেখতে পেয়েই পুলিশে খবর দেয়৷ এর পর তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অঞ্জলি এবং রাকেশকে চিহ্নিত করে পুলিশ৷ শেষ পর্যন্ত কলকাতায় পালিয়ে আসার আগেই আজারা এলাকা থেকে অঞ্জলি এবং রাকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷