পুড়ে যাওয়া মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে খবর যায় পুলিশে ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে চন্দন নগর থানার পুলিশ এসে নির্যাতিতা পপিকা সিংয়ের বয়ান নেন ৷ তাতেই জানা যায় আসল ঘটনা ৷ পপিতা সিংয়ের স্বামী অরবিন্দ সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ ৷ ঘটনার পর থেকেই যদিও পলাতক অভিযুক্ত অরবিন্দ সিং ৷ তাঁর খোঁজ চলছে ৷
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, আগুনে শরীরের অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ায় নির্যাতিতার অবস্থা সঙ্কটজনক ৷ নিজের বয়ানে নির্যাতিতা স্ত্রী জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলহ তদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই চলত কিন্তু ঘটনার দিন তা চরমে পৌঁছায় ৷ খাবার খেতে বসেই মহিলার স্বামী অরবিন্দ সিং লাগাতার রান্না নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন ৷ নির্যাতিতার বয়ান অনুসারে, তিনি তাঁকে শান্ত করতে বার বার ক্ষমা চেয়ে পরে তার পছন্দ মতো খাবার রান্না করে দেওয়ার কথা বলেন, কিন্তু রাগে ক্ষোভে অন্ধ অরবিন্দ কোনও কিছু না শুনে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন ৷ ভয় পেয়ে সেখান থেকে সরে যান তিনি ৷ কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা কেরোসিন ভর্তি জার এনে তাঁর গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী অরবিন্দ, অভিযোগে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ৷
এখানেই শেষ নয়, গোটা শরীরে আগুন লেগে যাওয়ার পর যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করেন পপিতা ৷ তাঁর মারণ চিৎকার শুনে হুঁশ ফেরে অরবিন্দের ৷ তখন জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে সে ৷ পরে আধপোড়া স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে আসে অভিযুক্ত ৷ স্ত্রীকে ভর্তি করিয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে তাঁর ফোস্কা পড়া হাতেরও প্রাথমিক চিকিৎসা করান হাসপাতালে ৷ তারপরই সেখান থেকে ফেরার হয়ে যায় অভিযুক্ত ৷