ইলিশ ও খয়রা এই দুই মাছের গড়ন হুবহু ইলিশের মতো হওয়ায় সহজেই বুঝে ওঠা সম্ভব হয়না কোনটা আসল ইলিশ। আর তারই সুযোগ নিয়ে লোক ঠকানোর কারবার খুলে বসেছিলেন এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা।আর দিঘায় এই ইলিশের জোচ্চুরি ঘটনা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সৌজন্যে পর্দা ফাঁস হয়। ইলিশ-সহ নানান সামুদ্রিক মাছের স্বর্গ দিঘা মোহনায় ইলিশ নিয়ে জোচ্চুরির রমরমা কারবার বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করল দিঘার মৎস্যজীবী সংগঠন।
advertisement
আরও পড়ুন: পটল খেলে কি বীজও খেয়ে ফেলেন? শরীরে এর প্রভাব কী হয় জানুন
মোহনার গ্রোয়িং বাঁধ লাগোয়া মাছের বাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ইলিশের নামে ও দামে বম্বে ইলিশ নামে পরিচিত আরব সাগরের খয়রা এবং চন্দনা মাছ গছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। গড়ন হুবহু ইলিশের মতো হওয়ায় সহজেই বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না কোনটা আসল ইলিশ। মূলত আরব সাগরের খয়রা মাছ আকারে বড় ও আর হুবহু ইলিশের মতো দেখতে হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে এত গরম, এত অস্বস্তি? অসহ্য গরমে কাবু উত্তর, আবহাওয়ার বড় খবর
ইলিশের নামে ইলিশ মতো দেখতে আরব সাগরের খয়রা মাছ গছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমের কার মারফত জানতে পেরে সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু করে দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই মাছ দোকানিদের নিয়ে বৈঠকে বসে সংস্থা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামীদিনে এই খুচরো মাছ ব্যবসায়ীরা আর খয়রা কিংবা চন্দনা মাছ বিক্রি করতে পারবেন না। যতটুকু মজুত আছে তা দ্রুতই বিক্রি করে দিতে হবে। তবে সেই মাছ ইলিশের নামে কিংবা দামে বিক্রি করা যাবে না।
এ বিষয়ে দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, ‘ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের পর আমরা মোহনা এলাকার খুচরো মাছের দোকানগুলিতে খয়রা এবং চন্দনা মাছ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। মজুত খয়রা এবং চন্দনা যাতে ইলিশের নামে বিক্রি করা না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক করেছি। এমন লোক ঠকানোর কারবার বন্ধে সংস্থার তরফে বিশেষ নজরদারিরও ব্যবস্থা করা হবে।’
Saikat Shee