গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারদের কাছে খবর ছিল যে, হাওড়া শহরে বসে বহু বিদেশি কল করা হচ্ছে। তখনই সেই কল বা মোবাইল IMEI নম্বর ট্র্যাক করে ডোমজুরের এই এলাকার হদিশ পান গোয়েন্দারা। প্রতিদিন রাত হতেই শুরু হয় এই ফোন কল, আর বেশিরভাগ কল করা হচ্ছিল আমেরিকায়। সেখানকার বিভিন্ন নাগরিককে কল করে চলছিল প্রতারণার ব্যবসা। রাতের দিক কেন কল করা হচ্ছিল ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই পাওয়া যায় তথ্য। কারণ সেই সময় আমেরিকায় দিন। আর ডোমজুড়ে বসে কল করলেও গ্রাহকদের কাছে সেই কল যেত আমেরিকার নম্বর থেকেই।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতে দাউ দাউ আগুন শতাব্দীপ্রাচীন বাড়ির একাংশে, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ঘরহারাদের!
গোয়েন্দাদের দাবি, বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে চলছিল প্রতারণা | তবে কি ধরণের প্রতারণা চলছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে | গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার বিশেষজ্ঞরা উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও বহু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পরীক্ষা করে খোঁজ চালাচ্ছেন। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত সোমনাথ দুবে, গুজরাতের বাসিন্দা, উত্তর পূর্ব ভারতের বেশ কিছু তরুণ-তরুণীদের নিয়ে বৃহদাকারে এই প্রতারণা চক্রের ফাদঁ বসেছিল বলে অভিযোগ। এমনকী ওই তরুণ-তরুণীদের থাকার জন্য নিউটাউন এলাকায় একটি আবাসনে ব্যবস্থাও করেছিল, যেখান থেকে প্রতিনিয়ত একটি বাসে করে এরা সবাই কাজে আসতেন।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের অধীনে মেগা রিক্রুটমেন্ট, এই সুযোগ ছাড়বেন না
অভিযুক্তরা নিজেদের 'অ্যামাজন কাস্টমার সাপোর্ট' স্টাফ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে আর্থিক ভাবে প্রতারিত করত বলে অভিযোগ। ভুয়ো কল সেন্টার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪৬ টি কম্পিউটার, হেডফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক দ্রব্যাদি ও কিছু নথিপত্র। এই বিষয়ে গোয়েন্দা বিভাগের স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে ডোমজুড় থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।