বেনিয়াপুকুর থানার গোবরা রোডের বাসিন্দা কাজি হাফিজুর রহমান প্রতারণার শিকার ৷ পুলিশকে তিনি জানান, শ্যাম মুর্মু ওরফে রাজু নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ৷ তার কাছে একটি সোনার মুদ্রা দেখার পর রাজু হাফিজুরকে জানায়, তার কাছে আরও এরকম কয়েন আছে ৷ শ্যাম মুর্মু একজন গরিব আদিবাসী শ্রমিক। বীরভূমের গ্রামে থাকে। বাড়ির ভিত কাটতে গিয়ে মাটি খুঁড়ে এক ঘড়া নবাবি আমলের খাঁটি সোনার মোহর সে পেয়েছে। ঘড়াতে প্রায় ৩০০ মোহর রয়েছে। শ্যাম গরিব মানুষ, এত মোহর নিয়ে সে কী করবে! তাই ও সস্তায় বিক্রি করতে চায়। এমনটাই জানানো হয় হাফিজুরকে ৷
advertisement
প্রথমে যে সোনার কয়েন রাজু হাফিজুরকে দেখায়, তা পরীক্ষা করে দেখবার পর নিশ্চিত হয়েই রাজুর কাছ থেকে আরও বেশি কয়েন কেনায় আগ্রহ প্রকাশ করে হাফিজুর ৷ বাকি মুদ্রাগুলির কেনার দিন ঠিক হওয়ার পর হাফিজুর সেগুলি রাজুর থেকে কেনেন ৷ কিন্তু সেই মুদ্রাগুলি পরীক্ষা করে দেখার পর দেখা যায়, সেগুলি নকল ৷ সোনার তো নয়ই, আদতে সেগুলি তামার তৈরি ৷ তারপর থেকেই রাজুকে বারবার ফোন করেও আর পাননি হাফিজুর ৷ তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন, তা বুঝতে আর খুব বেশি সময় লাগেনি ৷ অভিযোগ পেয়ে রাজু-সহ বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ৷
