উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গোয়ালপোখর থানার মদিনা চক এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলি চলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনায় এক মহিলা সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। রাত গড়াতেইগুরুতর জখম অবস্থায় মহম্মদ আরিফ নামে এক যুবককে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা আরিফকে মৃত বলে ঘোষণা করে। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ জখমদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ তিনজনকেই শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ঘটনার খবর পেয়েই ইসলামপুর থানার পুলিশ মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অবাক কাণ্ড! নিয়ে আসুন প্লাস্টিক, ফ্রি তে নিয়ে যান ১ কেজি চাল!
আরিফের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোয়ালপোখরের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আরিফের কাকা মহম্মদ খলিল জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ নাজিসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পুরোনো বিবাদ চলছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালীন গুলি চলে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
মৃত যুবকের কাকা মোহাম্মদ খলিলের অভিযোগ আরিফকে মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তীর জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত জৈনগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নাজিস এহসান ও তার সঙ্গী রাজবাবু পলাতক ছিল। ঘটনার ছদিন পর চোপড়া থানার সোনাপুর বিহার বাংলা সীমান্ত এলাকা থেকে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
চঞ্চল মোদক






