পুলিশ সূত্রে খবর, অগাস্ট মাসে এক ব্যক্তি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এসে অভিযোগ করেন, যে তিনি পার্সোনাল লোনের জন্যে একটি ফোন পান। দু'লক্ষ টাকার পার্সোনাল লোন ব্যাঙ্ক থেকে করিয়ে দেওয়া হবে বলে তাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তিনি রাজি হলে এরপর তাঁকে পরবর্তী পর্যায়ে জানানো হয় ফোন মারফত তাঁর লোন অ্যাপ্রুভ হয়ে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্কুলেই মৃত্যুফাঁদ, আচমকা ধসল স্কুলের বাথরুমের দেওয়াল, ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু
তবে সেই লোনের টাকা পেতে গেলে তাকে আগে কনসালটেন্সি ফিস হিসাবে ২৫ হাজার ৬৭২ টাকা জমা করতে হবে। তিনি তাতেও রাজি হলে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়। সেখানে টাকা জমা করেন তিনি।কিন্তু তারপরও লোনের কোনও টাকা না আসায়, তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন।
পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, এ দিন ২৬ বছরে রাহুল নাগকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে রাহুল একটি ভুয়ো কল সেন্টার চালু করে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন। সেই সূত্র ধরে রাতে নিউটাউনের গ্যালেরিয়া বিল্ডিংয়ে একটি ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে রাহুল নাগ ও তিন মহিলা-সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। অভিযুক্তেরা মূলত আদিত্য বিড়লা, কোটাক মাহিন্দ্রা, বাজাজ ফাইন্যান্সের মত বড় সংস্থার নাম ব্যবহার করে লোনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফোন করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই অফিস থেকে বেশ কিছু কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক-সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে, পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে সূত্রের খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কার কার যোগ রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
রুদ্র নারায়ন রায়